শিরোনাম
রাজধানী কিয়েভ রক্ষায় জীবনের শেষ বিন্দু দিয়েই রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার সকালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘তারা যদি বোমার চাদর বিছিয়ে দেয়, সহজেই আমাদের ইতিহাস মুছে দিতে চায়। আমাদের সবাইকে ধ্বংস করেই তাদের কিয়েভে ঢুকতে হবে। যদি এটাই তাদের উদ্দেশ্য হয়, তবে তারা আসতে পারে।’
এ পর্যন্ত ১৩ শ ইউক্রেন সেনা নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এসময় পশ্চিমাদের শান্তি আলোচনার আরও উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, তারা (রাশিয়া) ব্যাপক বোমা ছুড়ে সহজে এ অঞ্চলের ইতিহাস মুছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে…এবং আমাদের সবাইকে নিঃশেষ করে দিলেই কিয়েভে প্রবেশ করতে পারবে। এটাই যদি তাদের লক্ষ্য হয়, তাহলে তাদের আসতে দিন, তবে এখানে শুধু তাদেরই বসবাস করতে হবে।
এর আগে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, কিয়েভ দখলের চেষ্টায় রুশ সেনাদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। ইউক্রেন সেনাদের কাছে শুক্রবারই ৫০০ থেকে ৬০০ রুশ সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২৫ লাখের বেশি মানুষ। এ ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৫৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪১ শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা