রাশিয়া থেকে গ্যাস আনছে চীন, প্রস্তুতি চলছে পাইপলাইন নির্মাণের

ফানাম নিউজ
  ১৩ মার্চ ২০২২, ০০:৪৯

চীন কারও ওপর নির্ভরশীল থাকতে চায় না। বিশেষ করে ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর। দেশটি গ্যাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ক্রমেই রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে। তাই গ্যাস আমদানি বাড়াতে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন পাইপলাইন নির্মাণ কাজে জোর দিচ্ছে দেশটি।

জানা গেছে, চীন তাদের চাহিদার ৪০ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে অস্ট্রেলিয়া থেকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে করে ১০ শতাংশের কিছু বেশি।

ফলে তীব্র ঠাণ্ডা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে চীনে গ্যাস সরবরাহের জন্য পাইপলাইন নির্মাণের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। খুব দ্রুতই এর মূল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেও জানা গেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশন রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম থেকে গ্যাস আমদানি বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। গত মাসে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেসময় এক সাইডলাইন বৈঠকের পর ওই সিদ্ধান্ত আসে।

বর্তমানে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে একটি গ্যাস পাইপলাইন রয়েছে। যেটি বার্ষিক ৩৮ বিলিয়ন ঘনমিটার নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে ২০১৯ সালে। নতুন একটি পাইপ লাইন নির্মাণের জন্য দেশ দুইটি এরই মধ্যে একটি চুক্তি করেছে। গ্যাস সরবরাহে যেটির বার্ষিক সক্ষমতা হবে ১০ বিলিয়ন ঘনমিটার। তাছাড়া পাওয়ার অব সাইবেরিয়া-টু নামেও একটি গ্যাসলাইন নির্মাণ করা হবে। মঙ্গোলিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়া সেটির সক্ষমতা হবে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনমিটার।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে চলছে চরম উত্তেজনা। রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিম বিশ্ব। সবশেষ পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়ান তেল নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া-চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরালো হচ্ছে। বাড়ছে দেশ দুইটির মধ্যে আমদানি-রপ্তানি। কারণ পশ্চিমাদের সঙ্গে চীনেরও রয়েছে বিরোধ।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। এরই মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের বেশ কিছু শহর দখলে নিয়েছে।