শিরোনাম
মার্কসবাদী বিপ্লবী চে গুয়েভারাকে হত্যাকারী বলিভিয়ার মারিও তোরান ৮০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরির পর অবসর নেন। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর বলিভিয়ার পূর্ব সান্তা ক্রুজ প্রদেশের এক জঙ্গলে চে গুয়েভারাকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন মারিও তোরান সালাজার নামের এক বলিভিয়ান সৈনিক। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। সান্তা ক্রুজ দে লা সিয়েরার এক সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে তার মৃত্যু হলো।
চে গুয়েভারা ১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবর দুজন কিউবান-মার্কিন সিআইএ এজেন্টের সহায়তায় বলিভিয়ার সেনা বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন। তাকে খুঁজে পেতে সহায়তা করেছিলেন গেরি প্রাডো নামের একজন বলিভিয়ান সৈনিক।
এই বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারা তখন ক্ষুধা ও রোগে ভুগলেও বলিভিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত গেরিলাদের একটি ছোট দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আহত গুয়েভারাকে বন্ধী করে লা হিগুয়েরা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেছিলেন মারিও তোরান।
চে গুয়েভারার জন্ম আর্জেন্টিনায়, তবে পরে তিনি যোদ্ধা হিসেবে কিউবা সহ বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট বিপ্লবের সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫৯ সালে কিউবায় যে বিপ্লবে একনায়ক বাতিস্তাকে উৎখাত করা হয়, তাতে চে-র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯৬৭ সালে বলিভিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ার একদিন পর তাকে হত্যা করা হয়। এই মহান বিপ্লবী মাত্র ৩৯ বছর পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন।
সূত্র : গার্ডিয়ান