শিরোনাম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন অভিযোগ করেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এমন অভিযোগ করা হয়েছে। খবর: রয়টার্সের।
এর আগে মঙ্গলবার রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে সবচেয়ে গুরুতর সংকটের মুখে রয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা দেশটির প্রায় পুরো আর্থিক ও কর্পোরেট ব্যবস্থাকে আক্রান্ত করেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টি মস্কোর পর্যালোচনায় রয়েছে। রুশ জ্বালানি আমদানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাশিয়া একটি নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহকারী ছিল এবং থাকবে।
পেসকভ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা গভীর বিশ্লেষণের দাবি রাখে। আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন রাশিয়া কি করতে যাচ্ছে, তার উত্তর হবে, রাশিয়া তার স্বার্থ রক্ষার জন্য যা করা দরকার তাই করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। পৃথিবীর বৃহত্তম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানিকারক দেশ রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলার কারণে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছে দেশটি। দেশটির জ্বালানি রফতানি খাতও যুক্ত হয়েছে।