শিরোনাম
উত্তর আমেরিকার বাজারে তেলের সংকট লাঘবে প্রতিদিন চার লাখ ব্যারেল অতিরিক্ত তেল উত্তোলনের সক্ষমতা রয়েছে ভেনেজুয়েলার। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভেনেজুয়েলান অয়েল চেম্বারের প্রধান রেইনালদো কুইন্তেরো এসব কথা বলেছেন।
সম্প্রতি কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা ভেনেজুয়েলার কারাকাসে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে খবর প্রকাশের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
গত শনিবার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তা। পরে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন হামলার ঘটনায় রাশিয়াকে একঘরে করতে ভেনেজুয়েলাকে পাশে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় জ্বালানির বিকল্প উৎসের খোঁজে ভেনেজুয়েলা সফরে গেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
এর মধ্যেই বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেইনালদো কুইন্তেরো বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন আট লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে ভেনেজুয়েলা। তবে এর পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতিদিন ১২ লাখ ব্যারেল উত্তোলন করার মতো অবকাঠামো তাঁর দেশের রয়েছে। কুইন্তেরো আরও বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে উত্তর আমেরিকার বাজারের খানিকটা চাহিদা পূরণ করতে পারব আমরা।’
মার্কিন কর্মকর্তারা রাশিয়া জ্বালানির বিকল্প উৎস খুঁজতে ভেনেজুয়েলায় যাওয়ায় কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাশিয়ার মিত্রদেশ ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন তাঁরা।
২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপি করে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন—এমন অভিযোগে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারা দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর নিষেধাজ্ঞাও দেয় তখন। এ কারণে ২০১৯ সাল থেকে দেশটির প্রধান রপ্তানি পণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।
বিবিসিকে কুইন্তেরো বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় আরোপিত হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে বলে তিনি মনে করেন না। তবে বাইডেন প্রশাসন বিদেশি কোম্পানিগুলোকে ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দিয়ে লাইসেন্স ইস্যু করতে পারে। এর মধ্য দিয়ে ওই কোম্পানিগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
কুইন্তেরো আরও বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ভেনেজুয়েলার তেল খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে এবং প্রশিক্ষিত কর্মীর সংকট কমে যাবে।