শিরোনাম
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্য যুদ্ধ চলছে। ১৪তম দিন আজ বুধবার। রাশিয়ার আক্রমণের প্রতিবাদে দেশটির জ্বালানি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিকল্প উৎসের খোঁজ চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচনা করবেন বলে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের ফোন করেছিল হোয়াইট হাউস। কিন্তু তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে আজ ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে, তখনই এ খবর জানা গেল।
যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ জায়েদ আল-নাহিয়ান উভয় বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতার কথা জানান।
সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এর কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। দেশটির কর্মকর্তারা সংবাদপত্রটিকে বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধের জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট যুক্তরাষ্ট্রের আরও সাহায্য চায়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার নিশ্চয়তাও চায় সৌদি।
২০১৮ সালে কলাম লেখক ও সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাসহ যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের নামে একাধিক মামলা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় সৌদি আরবের কঠোর সমালোচনা করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সৌদিকে মূল্য চোকাতে হবে বলে জানান বাইডেন।
ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে রিয়াদের মিত্র হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। সম্প্রতি ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা আমিরাতে একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংযত প্রতিক্রিয়ায় সৌদির মতো আমিরাতও সন্তুষ্ট হতে পারেনি। বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে অনীহার এটাই বড় কারণ।