শিরোনাম
ইউক্রেন-রাশিয়ার সমস্যা দ্রুত শেষ হবে না এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মার্কিন প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড। এছাড়াও তিনি বলেন, সারাবিশ্বকে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
সমঝোতার লক্ষ্যে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার তৃতীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে তীব্র লড়াই অব্যাহত। তারইমধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে কিয়েভ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনের গণমাধ্যমের খবর, তারপরও জেলেনস্কি কিয়েভ ছেড়ে যাননি।
এদিকে জাতিসংঘে সোমবারও ইউক্রেন সংকট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে মার্কিন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লড়াই দীর্ঘ হবে। সহজে এই সংকট কাটবে না। রাশিয়া তার যোগ্য জবাব পাবে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের একাধিক শহর থেকে সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে পালাতে পারেন, সে কারণেই সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। ইউক্রেনের গণমাধ্যমের দাবি, সোমবার রাতে ফের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
বস্তুত, এদিনই বেলারুশের সীমান্তে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধি তৃতীয়বার আলোচনায় বসেছিলেন। ইউক্রেন বলেছিল, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামান্য হলেও সদর্থক দিকে ঘুরেছে। কিন্তু এরপরেই দুই দেশে দুইপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে অদূর ভবিষ্যতে ফের আলোচনার সম্ভাবনা আছে। দুই দেশই সে রাস্তা খোলা রেখেছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। রাশিয়া এবং বেলারুশের একাধিক কর্মকর্তার সম্পত্তি জব্দ করার কথা বলেছে জাপান। টয়োটা রাশিয়ায় তাদের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। অন্য জাপানি গাড়ির সংস্থাগুলোও একই পথে হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
একাধিক জাপানি কম্পানিও রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়া থেকে নিজেদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াও এদিন রাশিয়ার পক্ষে প্রচারণা চালানো লোকদের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
এদিকে আমেরিকা ফের অভিযোগ করেছে, রাশিয়া সিরিয়ার স্ট্রিট ফাইটারদের এই লড়াইয়ে ব্যবহার করছে। কিন্তু আমেরিকা এখনো পর্যন্ত তাদের অভিযোগের পক্ষে কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে পারেনি। ইউক্রেন জানিয়েছে, ‘নিহত’ রাশিয়ার জেনারেল ক্রিমিয়ার যুদ্ধে সামনে থেকে রাশিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সিরিয়ার যুদ্ধেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন।
সূত্র: দেশ রূপান্তর