শিরোনাম
তুরস্কে ফের মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করেছে। জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশে। যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ও ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তাছাড়া জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক সাত শতাংশ। লিরার দরপতন ও জ্বালানির দাম বাড়ায় দেশটির মূল্যস্ফীতিতে এমন প্রভাব পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তুর্কি পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট জানায়, ফেব্রুয়ারিতে ভোগ্যপণ্যের দাম চার দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে। তাছাড়া আগের মাসে উৎপাদক মূল্যসূচক বেড়ে হয় সাত দশমিক ২২ শতাংশ।
জানুয়ারিতে তুরস্কের জ্বালানি আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এতে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি আরও প্রকট হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও সরবরাহ সংকটের ফলে পণ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে। এদিকে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেপ্টেম্বরে সুদ হার কমিয়ে ১৪ শতাংশ করেছে।
গত বছর তার্কিশ মুদ্রার মূল্য কমে প্রায় ৪৭ শতাংশ। দেশটির সরকার ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে অস্বীকার করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। মুদ্রার অস্বাভাবিক দরপতনে তার্কিশ জীবনযাত্রায়ও প্রভাব পড়েছে। একদিকে নাগরিকদের বেতন কমেছে অন্যদিকে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের উচ্চমূল্যে দেশটির ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়েছে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সুদের হারের শেকল ভাঙার ও মূল্যস্ফীতি একক সংখ্যায় কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তুরস্কের মুদ্রা সমস্যার জন্য বিদেশি আর্থিক সরঞ্জামকে দায়ী করেছেন তিনি।