ইউক্রেনে কাকে পুতুল সরকার চায় রাশিয়া

ফানাম নিউজ
  ০৪ মার্চ ২০২২, ০৫:৫০

এখন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে আক্রমণ চালাচ্ছেন রাশিয়ার সেনারা। কিয়েভের বাতাসে বারুদের গন্ধ। নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ চলছে। কিন্তু থামছে না অটল রাশিয়া। যদিও রাশিয়া বারবার বলছে, ইউক্রেন দখল তাদের লক্ষ্য নয়। তাদের লক্ষ্য, ন্যাটোর সদস্য হওয়া হতে চাওয়া ইউক্রেনকে থামানো। কারণ, ন্যাটোর সেনা ইউক্রেনে এলে নিরাপত্তার হুমকিতে পড়বে রাশিয়া। আজ যুদ্ধের অষ্টম দিন। ইউক্রেনের কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ এখন রাশিয়ার হাতে। এমন অবস্থায় একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে যে ইউক্রেনে পুতুল সরকার বসাতে চায় রাশিয়া। সেই নামটিও প্রকাশ করে দিয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যম।

দ্য কিয়েভ ইনডিপেনডেন্ট ইউক্রেনের অন্যতম একটি গণমাধ্যম। গতকাল বুধবার এক টুইট বার্তায় গণমাধ্যম জানায়, ইউক্রেনের নতুন সরকার বসাতে চায় রাশিয়া। সেই ব্যক্তি এখন বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে আছেন। ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সরিয়ে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ইউক্রেনে চায় রাশিয়া। সেই টুইটে রিটুইট ও নানা মন্তব্য ভরে গেছে। কেউ বলছেন, এটাই হতে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ একে দিবাস্বপ্নও বলছেন।

বিশ্লেষকদের ধারণা, ইউক্রেনে ‘পুতুল সরকার’ বসানোর ব্লুপ্রিন্ট করে ফেলেছে রাশিয়া। মস্কোর ‘চোখের মণি’ সাবেক ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ফিরিয়ে কিয়েভে বসাতে চায় ক্রেমলিন। যুদ্ধের সপ্তম দিনে ‘প্ল্যান বি’ হিসেবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এ পরিকল্পনা কথা টুইটে জানাল ইউক্রেনের গণমাধ্যম। অনেকের আশঙ্কা, জেলেনস্কির সরকারের পতন ঘটিয়ে ইউক্রেনে আবার নিজেদের বিশ্বস্ত ইয়ানুকোভিচকে বসিয়ে এ সংঘাতে দাঁড়ি বসাতে চান ভ্লাদিমির পুতিন।

কে এই ইয়ানুকোভিচ

ইয়ানুকোভিচকে অনেক পছন্দ রাশিয়ার। আর এর কারণ খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হবে কয়েক বছর আগে। ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এরপর আবার ২০০৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবার প্রধানমন্ত্রী হন ইয়ানুকোভিচ। সেই সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন লিওনিড কুচমা।

এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হন ক্রেমনিলের অন্যতম বন্ধু ইয়ানুকোভিচ। ২০১৪ সালে একাধিক আন্দোলন, বিক্ষোভের পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচকে দেশ ছাড়তে হয়। সেই থেকে ইউক্রেনের বাইরেই আছেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে খোলা বাণিজ্যে রাজি না হওয়ায় এ ক্ষোভ তৈরি হয়। সেখানেই ক্রেমলিনের নিরাপত্তায় দিন কাটাতে থাকেন। ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রেসিডেন্টের পদ থেকে। আপাতত ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন পুতিন। তাঁর সবচেয়ে পছন্দসই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারেন ইয়ানুকোভিচই।