শিরোনাম
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোরে এই হামলা শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার হামলার অষ্টমদিন। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সাত দিনে রুশ সেনারা ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়েছে। একযোগে বিভিন্ন দিক থেকে অভিযান চালিয়ে রাশিয়া এখন পর্যন্ত দখলে নিয়েছে কয়েকটি নগরী।
এদিকে, গত কয়েকদিনে দেশটিতে বহু সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছে। যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির দু’জন ফুটবলারও।
এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে ১০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিক। তবে তারা দেশ ছেড়ে গেলেও রাশিয়ার হামলায় প্রতিরোধ গড়তে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন সর্বসাধারণ। মাতৃভূমি রক্ষায় এই কঠিন সময়ে ঘরে বসে থাকেননি দেশটির ক্রীড়াবিদরাও। যুদ্ধের ময়দানে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের ফুটবলার ভিতালি সাপিলো ও মিদিত্রো মার্তিনেঙ্কো।
পেশাদার ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন ফিফপ্রো ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে দুই ইউক্রেনিয়ান ফুটবলারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
২১ বছরের সাপিলো দ্বিতীয় বিভাগীয় দল কারপাতি লিভিভের হয়ে খেলতেন। যুদ্ধে তিনি সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন ট্যাংক কমান্ডার হিসেবে। কিয়েভের একটি যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাগুলিতে নিহত হন তিনি।
আঞ্চলিক ক্লাব এফসি গোস্তোমেলের সঙ্গে অপেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে খেলতেন মার্তিনেঙ্কো। ইউক্রেনিয়ান রাজধানীতে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে মায়ের সঙ্গে ছিলেন ২৫ বছর বয়সী ফুটবলার। রুশ বাহিনীর বোমার আঘাতে মারা যান তিনি।
ফিফপ্রো এক বিবৃতিতে জানায়, “তরুণ ইউক্রেনিয়ান ফুটবলার ভিতালি সাপিলো ও দিমিত্রি মার্তিনেঙ্কোর পরিবার, বন্ধু ও সতীর্থদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। এই যুদ্ধে প্রথম কোনও ফুটবলারের মৃত্যুর খবর। তারা দুজনেই শান্তিতে ঘুমাক।”
যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যাওয়ার পর সাপিলোকে ‘বীর’ বলে অভিহিত করেছে তার ক্লাব কারপাতি। তারা এক বিবৃতিতে শুক্রবার তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে। কারপাতি যোগ করেছে, “আমরা এই বীরের চিরন্তন স্মৃতিকে লালন করি।”
সূত্র: মার্কা