শিরোনাম
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে দেশটি থেকে ১০ লাখ মানুষ পালিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এসব তথ্য জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের লাইভে এ কথা বলা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন। তাঁর এই নির্দেশের পরই ইউক্রেনে তিন দিক থেকে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।
রুশ হামলার মাত্র ৭ দিনে ইউক্রেন থেকে ১০ লাখ মানুষ পালাতে বাধ্য হলো।
অবশ্য বিবিসির লুইস গুডাল বলেছেন, বিশ্বে ২০১৫ সালের শরণার্থী সংকটে ১৩ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের মাত্র এক সপ্তাহে দেশটি থেকে শরণার্থী হওয়া মানুষের সংখ্যা ২০১৫ সালের সংকটকে প্রায় ছাড়িয়ে গেছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার ফলে সৃষ্ট শরণার্থী সংকট নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
টুইটারে দেওয়া বিবৃতিতে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি ইউক্রেনে থাকা লাখো মানুষকে যাতে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদান করা যায়, সে জন্য গোলাগুলি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার আশঙ্কা, এই সংঘাত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে আর তাদের ত্রাণের প্রয়োজন হবে।
রুশ বাহিনী ইউক্রেনের তিন দিক থেকে হামলা জোরদার করেছে।
হামলার সপ্তম দিনে গতকাল বুধবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খারকিভ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মারিওপোল, উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ শহরে বিমান ও গোলা হামলা বাড়িয়ে দেয় রাশিয়া। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী খেরসন দখলে নিয়েছে তারা। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়ার ছত্রীসেনারা নেমে শহরটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সাত দিনের রুশ হামলায় ইউক্রেনে দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দেশটির জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, দেশজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা হামলায় চার শর বেশি জায়গায় আগুন লেগেছে আর ৪১৬টি বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, এই সাত দিনে প্রায় ছয় হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন, তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল প্রথমবারের মতো বলেছে, ৭ দিনে ৪৯৮ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি