শিরোনাম
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা শুরু হয়। আজ বুধবার হামলার সপ্তমদিন। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ছয় দিনে রুশ সেনারা ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়েছে। একযোগে বিভিন্ন দিক থেকে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভেও অভিযান শুরু করেছে। তবে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ও দেশটির বেসামরিক নাগরিকরা কোথাও কোথাও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
এই মুহূর্তে ইউক্রেনের এই অভিযান নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ব্যাপক টানাপোড়েন চলছে রাশিয়ার। এর মধ্যেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্যের ইঙ্গিত দিলেন বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরের লক্ষ্য কী, কেমন হতে পারে তার পরবর্তী পরিকল্পনা, তা জানালেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। মানচিত্রের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে চিহ্নিত করে তিনি সাবধান করলেন পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে।
পাঁচ দিনের যুদ্ধের পর বেলারুশে আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। সেই বৈঠক থেকে এখনও কোনও ফলাফল বেরিয়ে আসেনি। তার মধ্যে খোদ বেলারুশ প্রেসিডেন্ট জানালেন ইউক্রেন আক্রমণেই থেমে থাকবে না রাশিয়া। তার পরের লক্ষ্য হবে পশ্চিম ইউরোপীয় ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ মলডোভা। যুদ্ধের মানচিত্র ধরে তিনি দাবি করেন, এবার ছোট প্রতিবেশী দেশগুলোতেও হামলা করবে রাশিয়া।
দ্রুত যুদ্ধ জয় করতে গিয়ে ইউক্রেনের বেশ কিছু জায়গায় জেলেনস্কি বাহিনীর ‘অভাবনীয় প্রতিরোধের’ মুখে পড়ে রুশ সেনারা। তার পরেই নাকি ইউক্রেনে আরও অস্ত্রশস্ত্র ও সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার আর শুধু সেনা নয়, বহু সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানি হতে পারে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্টের দাবি, এরপর মলডোভা, রুসানিভিকা, কুরেনিকুয়ার মতো ছোট ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ও অঞ্চলেও আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট, দ্য হিল