শিরোনাম
ইউক্রেনে হামলার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেই দায়ী করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাতে কংগ্রেসে বার্ষিক স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে তিনি বলেন, বিনা প্ররোচনায় এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছেন পুতিন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রুশ নেতার আগ্রাসনের কারণে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চমূল্য দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমা ব্যবহারে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার একজন স্বৈরশাসক। ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা পাঠানোর জন্য বিশ্ব তাঁকে একঘরে করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে, যা তাঁর অর্থনৈতিক শক্তি শুষে নেবে এবং সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর প্রথম স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে গত মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের বলেন, যেকোনো সময়ের চেয়ে পুতিন এখন সবচেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বিশ্ব তাঁকে একঘরে করে রেখেছে। অর্থনৈতিক জরিমানা ও শাস্তির দিক থেকে কী অপেক্ষা করছে, সে সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণাই নেই।
মস্কো ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর এক সপ্তাহ পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একজন ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া পুতিনের সমালোচনায় বাইডেন বলেন, রাশিয়ার একজন স্বৈরশাসক আরেকটি দেশে হামলা চালাচ্ছে। যার মূল্য দিতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে। কিন্তু গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের লড়াইয়ে এ মুহূর্তে গণতন্ত্রেরই উত্থান ঘটছে এবং গোটা বিশ্ব স্পষ্টতই শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষ নিয়েছে।
পুতিনের সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ও ন্যাটোর (পশ্চিমা সামরিক জোট) (ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার) কোনো জবাব দেবে না। তিনি আমাদের বিভক্ত করতে পারবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু পুতিন ভুল ছিলেন। আমরা এখন প্রস্তুত রয়েছি।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে বাইডেন স্পষ্ট করে জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে মার্কিন সেনারা সংঘাতে জড়াতে যাবে না।
বাইডেন এ সময় বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইউক্রেনে রুশ সৈন্যদের সঙ্গে মার্কিন সেনারা সংঘাতে জড়ায়নি এবং কখনো এ সংঘাতে জড়াবে না।’ ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে ইউরোপে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়নি, বরং পুতিন পশ্চিমে অগ্রসর হতে থাকায় ন্যাটো মিত্রদের রক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুতিন হয়তো কিয়েভের চারপাশ ট্যাংক দিয়ে ঘিরে রাখতে পারেন, তবে ইউক্রেনের মানুষের মন ও হৃদয় কখনোই জয় করতে পারবেন না।
সূত্র: এএফপি রয়টার্স, বিবিসি