শিরোনাম
ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রতিদিনের যুদ্ধব্যয় ১৫ বিলিয়ন পাউন্ডআন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘কিয়েভ যদি অন্তত ১০ দিন রাশিয়াকে প্রতিরোধ করতে পারে, তাহলে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়া পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বাধ্য হবেন। যুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে ‘অতি আস্থাশীল’ ক্রেমলিন। তবে তার পরিকল্পনা অত্যন্ত দুর্বল।’
শনিবার রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফাঁস হওয়া এক তথ্য বলছে, ইউক্রেন জয়ে ৫০ হাজার সেনা হারাতেও প্রস্তুত আছে রাশিয়া।
বিটিশ অস্ত্র বিশেষজ্ঞ কর্নেল হামিশ ডি ব্রেটন-গর্ডন (অব) দ্য মিররকে বলেছেন, ‘রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে আমি মোটেও অবাক হব না।’ ডেইলি মেইল।
ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সার্ভিস এমআই১৬-এর প্রধান রিচার্ড মুর বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ‘অজেয়’। প্রমাণিত হবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কখনোই তার জনগণের ওপর রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করতে পারবেন না। কীভাবে পুতিনের বাহিনী শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে ব্যর্থ হবে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দাপ্রধান।
সেই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লন্ডনের কিংস কলেজের এয়ার স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক লরেন্স ফ্রিডম্যান। ‘একটি বেপরোয়া জুয়া’ শিরোনামে ফ্রিডম্যান বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রতি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন পুতিন। এ কারণে যুদ্ধের জন্য নানা অজুহাত খুঁজেছেন তিনি।’ নিবন্ধে তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে জেতার শক্তি রাশিয়ার নেই।
এস্তোনিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধান রিহো টেরাস দাবি করেছেন, পুতিনের দুর্বল যুদ্ধপরিকল্পনার দরুন দ্রুতই তাদের অর্থ ও অস্ত্র ফুরিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কিয়েভ যদি ১০ দিন রাশিয়ানদের আটকে রাখে, তাহলে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হবেন পুতিন।
ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে টেরাস এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে প্রতিদিন খরচ করতে হচ্ছে ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড। তাদের কাছে সর্বাধিক তিন থেকে চার দিনের জন্য রকেট রয়েছে, যদিও তারা এটি খুব কম ব্যবহার করছে।
এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ফাঁস হওয়া রাশিয়ার উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাক্ষরিত একটি নথিতে দেখা গেছে, ইউক্রেন আক্রমণে ৫০ হাজার সেনা খোয়ানোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন। ব্রিটিশ গোয়েন্দাপ্রধান এ দাবি করেছেন।
প্রস্তুতি হিসাবে তারা জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থাও (স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা) নিশ্চিত করে রেখেছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল ও যুগান্তর