শিরোনাম
ভারতে হিজাব আন্দোলনের পর নতুন করে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গের রাজপথ। বিক্ষোভ করছে ছাত্র, যুবকরা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর কাদা-ছোড়াছুড়ি।
আনিস খানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশের ভূমিকা, সুষ্ঠু তদন্তের সদিচ্ছা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে আনিস নিহত হওয়ার পর তার বাড়ির কাছের রাস্তায় কোনো সিসিটিভির দেখা মেলেনি৷ হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা যাতে সম্ভব না হয় সে কারণেই এলাকা সিসিটিভিমুক্ত করা হয়েছিল কি না, এমন প্রশ্নও উঠেছে৷
আনিস খান পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের রোষানলে পড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তার বন্ধু অভীক নাগ। তার দাবি, তৃণমূল সরকারের তোপে পড়েছিলেন আনিস৷
তিনি জানান, আনিসকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল৷ এ কারণে আমতা থানাসহ বিভিন্ন সরকারি অফিস ও সরকারি, বেসরকারি ব্যক্তির কাছে চিঠি লিখে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিলেন আনিস৷ ২৫ মে লেখা সেই চিঠি তার বন্ধুর প্রাণ রক্ষায় কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি বলে হতাশ অভীক নাগ৷
সেই চিঠিতে আনিস জানিয়েছিলেন, তাকে সর্বক্ষণ অনুসরণ করা হয়৷ এ কারণে সশরীরে থানায় না গিয়ে আনিস ডাকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন জানান অভীক৷ তার দাবি, এসডিপিওর (আমতা) সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তারা৷ ওসির সঙ্গেও কথা বলেছিলেন, মেইলও করা হয়েছিল৷ কিছুতেই কাজ হয়নি৷
আনিসের পরিবারের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাত দেড়টায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে বারবার ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল তাদের বাড়ির দরজায়৷ আনিসের বাবার কাছে জানতে চাওয়া হয় তার সন্তান কোথায়? বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয় সালেম খানকে৷ এরপরই তিনজন ওপরে উঠে আনিসকে তিন তলা থেকে ফেলে হত্যা করে বলে পরিবারের অভিযোগ৷
এদিকে, আনিস হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জোরালো দাবির মুখে সিট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে আনিসের বাবা জানিয়েছেন, পুলিশের ওপর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই তার৷ শুধু সিবিআই বা আদালতে ভরসা রয়েছে৷
এ ছাড়া কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে আমতা থানার তিন পুলিশ কর্মীকে৷ তারা হলেন- এ এস আই নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম এবং হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা৷
অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন করছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷ বিক্ষোভ, অবস্থান ধর্মঘটসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে