শিরোনাম
পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পূর্ব ইউক্রেনের এ দুটি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সেখানে ‘শান্তি’ বজায় রাখার জন্য সৈন্য মোতায়েন করবে রাশিয়া এমন ঘোষণার পর জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
তবে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের বক্তব্যের পর ৯০ মিনিট পর মুলতবি ঘোষণা করা হয় বৈঠক।
জরুরি বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধি সার্জেই কিসলিতসা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘অবৈধ’ আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি রাশিয়াকে এমন একটি ‘ভাইরাস’ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন যা বিশ্বকে প্রভাবিত করছে এবং এমনকি জাতিসংঘকেও সংক্রমিত করছে। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ অসুস্থ, এটি ক্রেমলিনের ছড়ানো ভাইরাসে সংক্রমিত।’
স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। রাশিয়ার জনগণ তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে বলেও আত্মবিশ্বাসী তিনি।
ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, পুতিন জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতাদের ফোনকলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পরে ডিক্রিতে সই করে তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেন।
২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদিরা লড়াই চালিয়ে আসছে। গত ৬ বছরে কিয়েভ সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে অঞ্চল দুটিতে।
সূত্র: আল-জাজিরা