নতুন সংগীতায়োজনে ‘একুশের গান’

ফানাম নিউজ
  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৫১

বাঙালির হৃদয়ে শিহরণজাগানো ‘একুশের গান’–এর ৭০ বছর! ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বের করা মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন বরকত, রফিক, জব্বার ও সালাম। সেদিনের রক্তাক্ত ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি লিখেছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। সেই গানের ৭০ বছর উদ্‌যাপনে নবসংগীতায়োজনে এবারের একুশের প্রথম প্রহরে গানটি প্রকাশ করা হয়েছে। 

শুরুতে এ গানের সুর করেছিলেন আবদুল লতিফ। শিল্পী আলতাফ মাহমুদের মনে হয়েছিল, ওই গানের সুরে বেদনা ও প্রত্যয় যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলার আরও সুযোগ রয়েছে। তিনি আবদুল লতিফের অনুমতি নিয়ে গানটিতে নতুনভাবে সুরারোপ করলেন। পরের বছর ১৯৫৪ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরিতে নতুন সুরে গানটি গাওয়া হয়। তাঁর সুরে ‘একুশের গান’ এখন বাংলা ভাষার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সম্পদে পরিণত হয়েছে। ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ রাত ১২টা ১ মিনিটে গানটি বেজে ওঠে সারা দেশে, বিশ্বের বহু দেশে। নতুন সংগীতায়োজনে দুই প্রজন্মের ছয় শিল্পীর কণ্ঠে নতুন করে ধারণ করা হয়েছে গানটি। নবসংগীতায়োজন ও বাদনে ছিলেন মানাম আহমেদ। গেয়েছেন আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ, সাইদ হাসান টিপু, বাপ্পা মজুমদার, সোমনূর মনির কোনাল, রেহান রাসুল ও অবন্তী সিঁথি।

একুশের গানের সংগীতায়োজক মানাম আহমেদ বলেন, ‘কাজটি করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। শাওন মাহমুদ আগেও আমাকে কাজটি করতে বলেছিলেন। এবার সেই সুযোগ হলো। কাজটা অনেক সেনসিটিভ ও সেন্টিমেন্টাল। যেহেতু গণসংগীত অংশটাসহ পূর্ণাঙ্গ গানটি করেছি, তাই এই কাজের জন্য অনেক কিছু চিন্তা করার প্রয়োজন ছিল। খুব অল্প সময়ে কাজটা করতে হয়েছে। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

শিল্পী শাওন মাহমুদ বলেন, ‘এই গান আমি আগেও গেয়েছি। কিন্তু নতুন প্রজন্মের সঙ্গে এই আয়োজনে গাওয়ার পর মনে হয়েছে, গানটি বহু বছর স্থায়ী হবে। এই গানকে এভাবে আর্কাইভ করার এটাই যথাযথ সময়।’ বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং এর সঙ্গে আমাকে যুক্ত করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ। আমার ধারণা গানের এ অংশগুলো খুব কম মানুষ শুনেছে। গানটি গেয়ে ভালো লেগেছে, মানাম ভাই দুর্দান্ত কাজ করেছেন।’

‘একুশের গান’ নবসংগীতায়োজনের মাধ্যমে প্রকাশের সমন্বয়ক কবির বকুল বলেন, ‘যেহেতু গানটির ৭০ বছর হতে যাচ্ছে, আমাদের পরিকল্পনা ছিল নতুন প্রজন্মের কাছে কীভাবে গানটি অন্যভাবে তুলে ধরা যায়। আমরা দুই প্রজন্মের শিল্পীদের কণ্ঠে গানটি তুলে দিয়েছি।’

সূত্র: প্রথম আলো