শিরোনাম
আপিল বোর্ড চিত্রনায়িকা নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করলে মিশা-জায়েদ প্যানেলে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে থেকেই আপিল বোর্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন জায়েদ খান। নির্বাচন কমিশনসহ আপিল বোর্ড তাদের কার্যকারিতা হারিয়েছে বলে দাবি এ চিত্রনায়কের।
নিপুণ শপথ নিলে সেখানে মিশা-জায়েদ প্যানেলের জয়ী সদস্যরা উপস্থিত থাকবে না বলেও খবর রটে।
এমন উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতেও শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে চমক দেখান সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী মিশা সওদাগর।
রোববার অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগেই ভিড় ঠেলে সামনে আসেন মিশা। চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা আর ভ্রাতৃত্ববোধ দেখিয়ে খল নায়ক থেকে বাস্তবের নায়কে পরিণত হন মিশা।
এ নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা পেলেও প্রশ্ন থেকেই যায় তার প্যানেলের সিদ্ধান্তের বিপরীতে গিয়ে নিপুণদের শপথ পড়াতে কেন গেলেন মিশা সওদাগর?
এর জবাবে এ খল অভিনেতা জানালেন, নায়ক আলমগীর ও ইলিয়াস কাঞ্চন এ দুই গুণী অভিনেতার আহ্বানে তিনি শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।
গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে মিশা সওদাগর বলেন, আলমগীর ভাই ও ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই আমাকে ফোন করে সেখানে যেতে বলেন। তারা দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। দুজন গুণী মানুষ যখন আমাকে শপথ পড়াতে বললেন, তাদের কথা কি ফেলতে পারি? তারা আমার মুরব্বি। আমার মনে হলো, শুধু সভাপতিকে শপথ পড়াব। এটা একটা ভালো কাজ। তাই আমি রাজি হই।
বিষয়টিতে নিজ প্যানেলের কারো কাছ থেকে বাধা পেয়েছিলেন কি না প্রশ্নে মিশা জানালেন, উল্টো ডিপজল ও জায়েদ খান তাকে শপথে যেতেই বলেছিলেন।
মিশা বলেন, সেদিন এফডিসিতে যাওয়ার আগে নির্বাচিত সহসভাপতি ডিপজলকে ফোন করেছিলাম। তিনিও আমাকে সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সে সময় আমি ভেবেছিলাম, আমার প্যানেলের সবাইকেই হয়তো এফডিসিতে যেতে বলা হয়েছে। তবে সবার পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন নেই আমার। আমাকে ডেকেছেন সিনিয়র ভাইরা, যারা আমার গুরু। আমি গিয়েছি, আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। আসার পর আমাকে বলা হয় সভাপতিকে শপথ পড়াতে। শপথ অনুষ্ঠানে আসার আগে জায়েদও ফোন করে আমাকে বলেছিল - ভাই, দুই পক্ষকে ডেকেছেন। আপনি পারলে একটু সময় দিয়েন।
এদিকে মিশা সওদাগরের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়াকে সমর্থনই করলেন জায়েদ খান। জানালেন, শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে ঠিক কাজটাই করেছেন মিশা সওদাগর।
এ বিষয়ে এক গণমাধ্যমকে জায়েদ খান বলেন, ‘মিশা ভাই ভালো কাজ করেছেন। নিজের জায়গা থেকে সভাপতিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। একজন শিল্পীর যেটা কাজ, তিনি সেটাই করেছেন। তিনি নায়কের মতো কাজ করেছেন। এটাই শিল্পীর দায়িত্বশীলতা। অন্যরাও হেরে গিয়ে মিশা ভাইয়ের মতো কাজ করলে আজ শিল্পীদের নিয়ে মানুষ প্রশংসা করতেন। আমাদের আদালতে যেতে হতো না। তাহলে শিল্পী সমিতি নিয়ে মানুষও হাসাহাসি করতে পারতেন না। আমি মিশা ভাইকে সাধুবাদ জানাই।’
সূত্র: যুগান্তর