শিরোনাম
দিক নির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আসা চিঠি নিয়ে শনিবার জায়েদ খান ও নিপুণকে নিয়ে মিটিং করার কথা আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের। মিটিংয়ে অংশ নিতে নিপুণ আগ্রহী হলেও সাফ 'না' করে দিলেন জায়েদ খান।
শুধু না করেই ক্ষান্ত হননি, আপিল বোর্ডকে কড়া হুঁশিয়ারি বার্তাও দিলেন। জানালেন, কোনো অবৈধ কমিটির মিটিংয়ে তিনি বসবেন না।
মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার কথা মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী চুন্নুরও।
শুক্রবার জায়েদ খান জানালেন, তিনি বা চুন্নু কেউই উপস্থিত হবেন না মিটিংয়ে।
কেন যাবেন না এর ব্যাখ্যায় সাংবাদিকদের জায়েদ খান বলেন, ‘আমি কেন অবৈধ কমিটির কাছে যাব। কেন? আর গেলেই বা কী। মিটিংয়ে যে রায় হবে, তাতে আমার কিছুই যায়-আসে না। কারণ তারা অবৈধ কমিটি। তাদের চ্যালেঞ্জ করতে হলে আদালতে যেতে হবে।২৯ জানুয়ারি আমাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারপরও তারা যদি এটি নিয়ে লড়তে চান, সেটা আদালতে হবে। আপিল বোর্ডের কোনো কার্যকারিতাই নেই। আমার আইন উপদেষ্টা একই কথা বলছেন।’
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আপিল বিভাগ হাস্যকর কর্মকাণ্ড করছে। তারা বলেছে, ২৯ তারিখে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। আমরা সেই চিঠি বের করে দেখেছি, সেটা ১ ফেব্রুয়ারিতে পাঠান। ২৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগের কার্যকারিতা শেষ। ১ ফেব্রুয়ারি তারা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাতে পারে না। মন্ত্রণালয়ের কাছেও ওই চিঠি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
এরপর আপিল বোর্ডকে কড়া হুঁশিয়ারি বার্তা দেন জায়েদ খান।
জায়েদ খান বলেন, ‘আপিল বিভাগের কার্যকারিতা সম্পর্কে হয়তো জানে না মন্ত্রণালয়। এ কারণেই এসব ভুল কার্যক্রম বন্ধ করতে মন্ত্রণালয়সহ আপিল বিভাগের পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। এই কার্যক্রম থামানোর অনুরোধ করছি। যদি তা না করে ৫ ফেব্রুয়ারি মিটিং করে, তাহলে এই অবৈধ কার্যক্রমের কারণে সবার নামে মামলা করব।’
সূত্র: যুগান্তর