শিরোনাম
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে ঝামেলা মিঠছে না। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদ বাতিল হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে স্থগিত হয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও কার্যকরী সদস্য পদে চুন্নুর প্রার্থিতা।
সাধারণ সম্পাদক পদের পরাজিত প্রার্থী নিপুণের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হয়ে বুধবার আপিল বিভাগের কাছে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা এসেছে।
তাই জায়েদ খানের ভাগ্য এখন জনপ্রিয় পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাতে। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহান।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের।
ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের নিবন্ধক কর্তৃপক্ষ মো. রকনুল হক স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে, নির্বাচন বিষয়ে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের আলাদা দিক নিদের্শনার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। বর্ণিত প্রার্থীদ্বয়ের বিষয়ে প্রাপ্ত অভিগোগুলো আমলে নিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য আপনাকে (সোহান) অনুরোধ করা হলো।
অর্থাৎ বল এখন সোহানুর রহমান সোহানের কোর্টে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সোহানুর রহমান সোহান।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার করতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখেই শরীর ভালো নয় বলে এড়িয়ে যান সোহান।
তবে জায়েদ ও চুন্নুর ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে তা এখন নির্ভর করছে এই নির্মাতার হাতেই৷
অবশ্য নিপুণের এই আবেদনের বিষয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, আপিল বিভাগের পুনর্গণনা শেষে নিপুণ তার পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে গেছেন। নির্ধারিত সময়ের পরে এ আবেদন মন্ত্রণালয়ের যেতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ায় হয়েছে।
অন্যদিকে, দুই প্যানেলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরও বুধবার নব-নির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেছে জায়েদ খানকে। দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শোতে হাজির হয়ে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ব্যাপারে সেখানে উপস্থাপকদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন তারা। এক ফাঁকে ফুল হাতেও একসঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা যায় এ দুই তারকাকে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নানা বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন নিপুণ। শুধু মৌখিক অভিযোগই নয়, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণও হাজির করেন নিপুণ। জায়েদ খান ভোটে কারচুপি করেছেন অভিযোগ তুলে অজ্ঞাত কারো সঙ্গে তার গোপন স্ক্রিনশট দেখান। এছাড়া এক ভিডিও দেখিয়ে জায়েদ খান এক ভোটারকে টাকা দিচ্ছেন বলে দাবি করেন নিপুণ।