শিরোনাম
আলোচনা-সমালোচনার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই রূপালি জগত থেকে হারিয়ে যান অভিনেত্রী ময়ূরী। সূত্র: যুগান্তর
একসময়ের পর্দা কাঁপানো চিত্রনায়িকা তিনি। যদিও প্রথমসারির চিত্রনায়িকা হিসেবে নিজেকে দাঁড় করতে পারেননি কখনও।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন এফডিসিতে দেখা গেল ময়ূরীকে। এসেছিলেন ভোট দিতে।
তাকে দেখেই ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। স্বভাবতই প্রশ্ন ছুড়েন তারা, হঠাৎ করে সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার রহস্য কী?
জবাবে ময়ূরী বলেন, ‘আর সিনেমা করব না। বিয়ের পরই আমি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৩০০ এর মত সিনেমা করেছি। আমার এখন দুই সন্তান, তাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকি। সবার আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
এরপরই প্রসঙ্গ পালটে নির্বাচনকে নিয়ে কথা বলেন ময়ূরী। বলেন, নির্বাচনে এসে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে, এটা অনেক ভালো লাগছে। আসলে সিনেমা তো অন্যরকম ভালো লাগার জায়গা, তাই এফডিসিতে বার বার আসতে ভালো লাগে। এফডিসিতে এসে আজকে অনেক প্রয়াত তারকাকে মিস করছি।
ঢালিউডে নব্বই দশকের শেষের দিকে আগমন চিত্রনায়িকা ময়ূরীর। তখন সিনেমার সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন চিত্রনায়িকা ছিলেন তিনি।
১৯৯৮ সালে ‘মৃত্যুর মুখে’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন ময়ূরী। এ পর্যন্ত তার অভিনীত তিনশ’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘চার সতীনের ঘর’ শিরোনামের সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান ময়ূরী। তার অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বাংলা ভাই’।
গেল বছর সংবাদমাধ্যমে তাকে ‘অশ্লীল সিনেমার নায়িকা’ বলায় ব্যথিত হন এ অভিনেত্রী । বিষয়টি উল্লেখ করে অঝোরে কাঁদেন। দাবি করেন-‘তিনি কোনো অশ্লীলতা করেননি। আর যদি করেও থাকেন তাহলে তার বিপরীতের নায়করাও অশ্লীল।’
সিনেমা ছেড়ে বর্তমানে পরিবারপরিজন নিয়ে টঙ্গীতে নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন এই নায়িকা।