শিরোনাম
শোবিজ অঙ্গনে বইছে নির্বাচনের হাওয়া। একইদিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন এবং টেলিভিশন নাটকের শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন। আজ (২৭ জানুয়ারি) প্রচারণার শেষ দিন। রাত পোহালেই ভোট। আর তাই ভোট উৎসবে মেতেছে দুই পর্দার তারকারা। সূত্র: আরটিভি
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে ঝিমিয়ে পড়া এফডিসিতে। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নিয়েছে। ইলিয়াস কাঞ্চন ও অভিনেত্রী নিপুণ একটি প্যানেল গঠন করেছেন। অন্য প্যানেলে আছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়বেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও মিশা সওদাগর। দুই সহসভাপতি পদে আছেন মোট চারজন। তারা হলেন ডি এ তায়েব, রিয়াজ, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মাসুম পারভেজ রুবেল।
সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। সহসাধারণ সম্পাদক পদে সুব্রত বনাম সাইমন সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলেক জান্ডার বো বনাম শাহনূর, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী বনাম নিরব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে আরমান বনাম জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাকির হোসেন বনাম মামনুন হাসান ইমন, কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান বনাম ফরহাদ।
এ ছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের পদ ১১টি। দুটি প্যানেল থেকে ১১ জন করে মোট ২২ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- অঞ্জনা সুলতানা, অরুণা বিশ্বাস, অমিত হাসান, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, আসিফ ইকবাল, কেয়া, গাংগুয়া, চুন্নু, জেসমিন, ডন, নাদির খান, নানাশাহ, পরীমণি, ফেরদৌস, বাপ্পরাজ, মৌসুমী, রোজিনা, রবিউল ইসলাম হরবোলা, শাকিল খান, সুচরিতা, সাংকোপাঞ্জা, সিমান্ত ও হাসান জাহাঙ্গীর।
এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা হারুন। অন্য দুই সদস্য হলেন- বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।
অন্যদিকে নাট্যপাড়ার শিল্পীরা এক হলেই চলছে ভোটের গল্প। চায়ের চুমুকে ভোটের আলাপ জমে উঠেছে। অভিনয়শিল্পী সংঘের এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন একঝাঁক শিল্পী। তবে এবার নেই কোনো প্যানেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২১ জন বিজয়ী হয়ে নতুন কমিটি গড়বেন। এই ২১টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৮ জন অভিনয়শিল্পী। মোট ভোটার সংখ্যা ৭৪৮ জন। প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
শিল্পী সংঘের নির্বাচনে এবার সভাপতি (একটি) পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন দুই জন। তারা হলেন- আহসান হাবিব নাসিম ও ড. শাহাদাৎ হোসেন (নিপু)।
সহসভাপতি (তিনটি) পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন। তারা হলেন- আনিসুর রহমান মিলন, তানিয়া আহমেদ, ইকবাল বাবু, সেলিম মাহবুব ও দিলু মজুমদার।
সাধারণ সম্পাদক (একটি) পদের জন্য লড়ছেন দুইজন। তারা হলেন- এম এস কামরুল হাসান (রওনক হাসান) ও আলমগীর কবীর (কবীর টুটুল)।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (দুটি) পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন নাজনীন হাসান চুমকি, শামীমা তুষ্টি ও মো. জামিল হোসেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক (একটি) পদের জন্য লড়বেন তিনজন। তারা হলেন- সাজু খাদেম, গিয়াস উদ্দিন তুষার (তুষার মাহমুদ) ও জুলফিকার চঞ্চল।
অর্থ সম্পাদক (একটি) পদের জন্য লড়বেন দুই জন। তারা হলেন- দেওয়ান মো. সাইফুল ইসলাম (সায়েম সামাদ)।
দপ্তর সম্পাদক (একটি) পদের জন্য লড়বেন দুই জন। তারা হলেন- মামুন অর রশিদ (কবি মামুন)।
অনুষ্ঠান সম্পাদক (একটি) পদের জন্য লড়বেন দুই জন। তারা হলেন- মো. মাহাবুবুর রহমান ও রাশেদ মামুনুর রহমান (অপু)।
আইন ও কল্যাণ সম্পাদক (একটি) পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর ও রওনক বিশাকা শ্যামলী।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক (একটি) পদের জন্য লড়বেন দুই জন। তারা হলেন- প্রাণ রায় ও মুকুল সিরাজ।
তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক (একটি) পদের জন্য লড়বেন তিন জন। তারা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, মাহাদী হাসান পিয়াল ও সুজাত শিমুল।
কার্যনির্বাহী সদস্য (সাতটি) পদের জন্য লড়বেন ২০ জন। তারা হলেন- আইনূন পুতুল, আবুল কালাম আজাদ মিয়া (এ কে আজাদ সেতু), আশরাফ কবীর, আশরাফুল আলম খান (আশরাফুল আশীষ), এ এ এম গোলাম কিবরীয়া (তানভীর), খালেদ আহমেদ সালেহীন (রাজিব সালেহীন), তানভীর মাসুদ, নুরুন নাহার বেগম, মাজনুন মিজান, মিষ্টি মারিয়া, মো. আবদুল হাননান আখন্দ, মো. আমিনুল বারী (এজাজ বারী), মৌসুমী হামিদ, রেজাউল করিম সরকার (রেজাউল রাজু), শামস সুমন, শ্যামল জাকারিয়া, স্মরণ কুমার সাহা, সংগীতা চৌধুরী, সূচনা শিকদার, হাফিজুর রহমান (হিমে হাফিজ)।
অভিনয়শিল্পী সংঘের এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আছেন খায়রুল আলম সবুজ। সহকারি কমিশনার হিসেবে আছেন নরেশ ভূঁইয়া ও মাসুম আজিজ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৭৪৮ জন ভোটার এ সময়ের মধ্যে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।