শিরোনাম
প্রতিবছর হাজার হাজার নির্মাতা চলচ্চিত্রের অঙ্গনে নাম লেখান। এর মধ্যে খুব কমসংখ্যক নির্মাতা শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের প্রমাণ করে প্রতিষ্ঠা পান। ২০২২ সালে পরিচালক হিসেবে নিজেদের এগিয়ে নেবেন, এমন ১০ জন নির্মাতার তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভ্যারাইটি। তাদের হিসাবে, ২০২২ সালে এই নির্মাতাদের দিকে বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখ থাকবে। তাদের প্রকাশিত তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্বের ১০ নির্মাতার ৮ জনই নারী।
উঠতি এই তরুণ নির্মাতাদের মধ্যে ৫ জনই এ বছর স্যানডেন্স চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কারও প্রথম সিনেমা। কারও সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা। এ ছাড়া কান, ভেনিসসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত, প্রশংসিত হওয়া নির্মাতারা রয়েছেন এই তালিকায়। এই নির্মাতাদের সিনেমার গল্প চলমান বিশ্বের প্রতিচ্ছবি। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, গর্ভপাত, গৃহবন্দীসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। এই ১০ পরিচালককে পাম স্প্রিরিংস চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মাননা জানানো হয়।
এসব পরিচালকের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন আইচ আলবার্তো। ছয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার পর তিনি নির্মাণ করেন ‘অ্যারিস্টটল অ্যান্ড দান্তে ডিসকাভার দ্য সিক্রেট ইউনিভার্স’। এ বছর সিনেমাটি পাম স্প্রিরিংস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়। দুজন আফ্রিকান নারীর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে প্রথম সিনেমা বানিয়েছেন মারিয়ামা ডায়ালো। তাঁর সিনেমার নাম ‘মাস্টার’। এ ছাড়া ২০২১ সালে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাজিমাত করেছে ১৯৬০ সালের গর্ভপাতের ঘটনা নিয়ে সিনেমা ‘হ্যাপিনিং’। ৬ নম্বর নারী হিসেবে সিনেমাটি দিয়ে গোল্ডেন গ্লোব জয় করেছেন ফ্রান্সের নির্মাতা অড্রে দিওয়াঁ।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেত্রী ম্যাগি গিলেনহাল। প্রথম সিনেমা ‘দ্য লস্ট ডটার’ বানিয়েছেন। তিনি চিত্রনাট্যের জন্য ভেনিস উৎসবে পুরস্কার জিতেছিলেন। চলতি বছর তাঁর মনোনয়ন ছিল গোল্ডেন গ্লোবে। এরপরই রয়েছে ৯৪ তম অস্কারের শর্ট লিস্টে থাকা মেক্সিকোর একটি অঞ্চলের নারীদের নিরাপত্তাহীনতার গল্প নিয়ে সিনেমা ‘প্রেয়ার ফর দ্য স্টোলেন’। সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে আঁ সার্তে রিগা শাখায় স্পেশাল ম্যানশন শাখায় পুরস্কার জয় করে। এটি পরিচালনা করেছেন তাতিয়ানা হুজো।
এ ছাড়া এই তালিকায় আরও রয়েছেন গোরান স্টোলেভস্কি। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘ইউ ওন্ট বি অ্যালোন’। সিনেমাটি স্যানডেন্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল প্রতিযোগিতায় ছিল। লেবানন-আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা নিক্যাতু জুসু। তিনি ন্যানি সিনেমা দিয়ে প্রথমবারেই স্যানডেন্সের মনোনয়ন জিতেছেন। এ ছাড়া অভিনেত্রী মেগান পার্ক, কোপার রাইফ ও ক্রিস্টিন ভার লিন্ডেন রয়েছেন এই তালিকায়। ভ্যারাইটির ধারণা, বছরজুড়েই তাঁরা দ্য ফলো আউট, চা চা রিয়েল স্মুথ ও অ্যালাইস সিনেমা দিয়ে আলোচনায় থাকবেন।