শিরোনাম
ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করার অভিযোগে তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তবে এই অভিনেত্রীকে তার স্বামী নোবেল হত্যা করেছেন তা এখনও মানতে রাজি নন শিমুর বোন ফাতিমা নিশা। তিনি তার বোনের স্বামীর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সূত্র: আরটিভি
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান ফাতিমা নিশা। যদিও নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলেছে, নোবেল পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবুও পুলিশের এই বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছেন নিশা।
এ প্রসঙ্গে ফাতিমা নিশা বলেন, আমি এখন থানায় আছি; মামলা করার প্রস্তুতি চলছে থানায়। মামলার কাজ শেষে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ যাবো বোনের মরদেহ নিতে।
মামলায় তার বোনের স্বামীকে আসামি করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। তবে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি।
পুলিশ বলেছে নোবেল তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও কিছু বলতে চাচ্ছি না। পুলিশকে কোন পরিপ্রেক্ষিতে আমার বোনের জামাই এ কথা বলেছেন তা পুলিশই জানে। হয়তো পুলিশের কাছে তথ্য-প্রমাণ আছে।
এর আগে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর আমরা তার স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় নোবেল। আর হত্যার পর লাশ গুমের জন্য তার বন্ধু ফরহাদের সহযোগিতা নেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের একদিন পর কেরানীগঞ্জের হজরতপুর এলাকার সড়কের পাশ থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় রক্তমাখা গাড়িও। হত্যার ঘটনায় গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতেই তার স্বামী নোবেলসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।