শিরোনাম
দেশীয় টেলিভিশনের তারকা দম্পতি বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশি। দুই ছেলে দিব্যজ্যোতি ও সৌম্যজ্যোতিকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। বাবা-মায়ের মতো তারাও অভিনয়ের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন দিব্য-সৌম্য। সূত্র: আরটিভি
দুই ছেলেকে নিয়ে বেশ গর্বিত বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশি দম্পতি। প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই ছেলের নানা ঘটনা তুলে ধরেন গুণী এই অভিনেত্রী। গেলো ১৩ জানুয়ারি ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছেলেদের ঝগড়া ও ভালোবাসার মিশ্র এক চিত্র তুলে ধরেছেন তিনি। শাহনাজ খুশির লেখনি হুবহু তুলে ধরা হলো-
''জীবনে কত কিছু শেখার বাকি আছে এখনও! মা-বাবার কাছে যেমন সন্তান শেখে, তেমনি সন্তানের কাছেও মা-বাবার শেখার আছে (এটা অবশ্য একান্তই আমার ভাবনা)।
দিব্য এবং সৌম্য দুজনার ঝগড়া-বিবাদ খুব কম হয়। কিন্তু রেগে গেলে হুটহাট একজন আরেকজনকে মেরে বসে। আমার মধ্যস্থতা ছাড়া সেটা মেটানো মুশকিল হয়!
কালকেও সেটা হল। কিন্তু এ যাবত কালের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল। মানে হাতের সাথে, মুখেও তাদের একে-অপরের প্রতি জমে থাকা নানান বেদনার/ক্ষোভ বর্ষণ হতে লাগলো। দুজনেই প্রচুর কান্না করলো, কেউ কারো মুখ দেখবে না বলে দিল। রাতে ঘুমালোও আলাদা। একজন আমাকে ভাগ করে নিল, আরেকজন ওর বাবাকে নিল।
আমি তো পুরা বোকা হয়ে গেলাম। বাচ্চারা বড় হয়েছে, কিভাবে এটার সমাধান হবে তার কোন কূল কিনারা করতে পারলাম না! আজ সকালেও দুইজন বিপরীতমুখী হয়ে থাকলো। চা নিয়ে একজন ঘরে চলে গেল!
সৌম্য বিকেলে একটু বাসার নীচে যাবার কথা বলে বের হয়ে গেল (তারা সাধারণত একা বাসার বাইরে যায় না)। ফিরে আসলো একটা প্যাকেট হাতে করে। সন্ধ্যায় চা নিয়ে টেবিলে এসে দেখি একটা ছোট্ট কেক! তাতে রেড কালারে লেখা 'সরি'।
এমন করে 'সরি' বলা যায় বাবা রে! 'সরি' বলতে পারা একটা মহৎ গুণ, এটা বেশীর ভাগ মানুষেরই থাকে না! সে 'সরি' এভাবে বলার পর তো অনুযোগ/ব্যাথ্যা সব গলে ভালবাসা হয়ে যায়, আক্ষেপ গুলো সব ধুঁয়ে যায় বাবা! যেতেই হয়! ভাই-ভাইকে বুকে ধরে থাকলো অনেকক্ষণ! কাঁদলো...........।
এমন ভাবে 'সরি' বলে অভিমানের পাহাড় ডিঙ্গানো যায়, তা আমি তোর কাছে শিখলাম বাবা! তুই এ জন্য মাঝে মাঝে আমার সত্যিকারের বাবা হয়ে ধরা দিস! আর আমি তোর বোকা সেই মেয়ে।''