পৃথিবীর অন্যতম সুখী জায়গা ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্টে ঘুরে বেড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক সুপারস্টার শাকিরা। সম্প্রতি পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে অরল্যান্ডোর থিম পার্কটিতে হাসিখুশি সময় কেটেছে তার। 

ডিজনি পার্ক তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে কলম্বিয়ান এই গায়িকার একটি ছবি শেয়ার দিয়ে খবরটি জানিয়েছে। তিনি নিজেও ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের সঙ্গে এই আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন।

ম্যাজিক কিংডম পার্কে বেড়ানোর সময় ‘ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড মিনিট’ প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়েছেন শাকিরা। অবকাশযাপন, নিজের স্মরণীয় কনসার্ট, সন্তানদের নিয়ে গর্ব, নতুন অ্যালবামসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডে কী কী করলেন জানতে চাইলে শাকিরা বলেন, ‘সবখানে ঘুরে বেড়িয়েছি। মিকি মাউসকে দেখেছি। পপকর্ন খেয়েছি।’ এর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে আনন্দ দিয়েছে? তার অভিব্যক্তিতে, ‌‘এখানকার ফ্যান্টাসি উপভোগ করে ভালো লেগেছে।’

ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডের কোন আকর্ষণ দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন? শাকিরা একগাল হেসে উত্তর দেন, ‘হান্টেড ম্যানসন!’

শাকিরার চোখে ডিজনির ফ্যাশন আইকন কে? তিনটি গ্র্যামিজয়ী গায়িকা একবাক্যে বললেন, ‘প্রিন্সেস জেসমিন।’

ফুটবলার পিকে ও শাকিরার দুই পুত্রসন্তান। তাদের ছেলে মিলান ও সাশার কাছে ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কোনটি? ৪৪ বছর বয়সী এই তারকা মনে করেন, ‘ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডে ঘুরতে এসে এবং মিকি মাউস দেখে আমার ছেলেরা খুশি।’

মিলানের বয়স ৯ বছর। তার চেয়ে দুই বছরের ছোট সাশা। তাদের নিয়ে শাকিরার ইতিবাচক পর্যবেক্ষণ, ‘ওরা যে ধরনের মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে তাতে আমার গর্ব হয়। আমার ছেলেরা উদার ও শ্রদ্ধাশীল। এজন্য আমি খুশি।’

সংগীতজীবনে অনেক কনসার্টে নাচ-গান করেছেন শাকিরা। এরমধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় কোনটি? এর উত্তর দেওয়া স্বাভাবিকভাবেই তার জন্য কঠিন। তিনি বলেছেনও সেটা। সেই সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘মিসরের পিরামিডে অনুষ্ঠিত কনসার্টের কথা আমার বিশেষভাবে মনে পড়ে।’

নতুন অ্যালবামের কাজ করছেন বলেও জানান লাতিন সম্রাজ্ঞী শাকিরা। ছয়টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী এই গায়িকার সবশেষ একক অ্যালবাম ‘এল দোরাদো’ বাজারে আসে ২০১৭ সালে।