শিরোনাম
বছরের শুরুটা ভালোভাবেই করতে চেয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুর। গত ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর অভিনীত বহুল আলোচিত ছবি ‘জার্সি’। কিন্তু করোনা সবকিছু বিগড়ে দিল। করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে ‘জার্সি’ ছবির মুক্তির দিন স্থগিত রেখেছেন নির্মাতারা।
তবে এই ছবির ট্রেলারেই বাজিমাত। গৌতম তিন্নানুরি পরিচালিত এই ছবিতে ম্রুণালকে শহীদ কাপুরের স্ত্রী ‘বিদ্যা’র ভূমিকায় দেখা যাবে। গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারের শুরুতে উঠে এসেছিল এই ছবিতে তাঁর অভিনীত চরিত্রের কথা। বিদ্যার সঙ্গে ম্রুণাল নিজেকে কতটা মেলাতে পারেন?
জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মা এই চরিত্র করতে আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। আসলে বিদ্যার মধ্যে আমি আমার মাকে দেখতে পেয়েছি। কারণ, আমার মা বিদ্যার সময়কার মেয়ে। তাঁদের কাছে কাজের চেয়ে পরিবার আগে। এ ছবিতে আমার একটি ছেলে আছে। এদিকে ব্যক্তিগত জীবনে আমার ছোট এক ভাই আছে। তাই মায়ের সঙ্গে ভাইয়ের ছোট ছোট বিষয় আমি ছবিতে যুক্ত করেছিলাম। ছবিতে পেনসিল ছুলে দেওয়া বা মন্ত্রপাঠের দৃশ্য—এ সবকিছু আমার বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া।’
‘জার্সি’ ছবিতে ম্রুণালকে বিবাহিত এক নারীর ভূমিকায় দেখা গেছে। ছবির ট্রেলারে দেখা যায়, বিদ্যার স্বামী তাঁর ব্যাগ থেকে টাকা সরাচ্ছেন। ব্যক্তিগত জীবনে কী রকম স্বামী চান?
এই প্রশ্ন করতেই একগাল হেসে ম্রুণাল বলেন, ‘সে যেন আমার ব্যাগ থেকে টাকা চুরি না করে (সশব্দ হেসে)। মজা করছিলাম। আসলে আমি এমন বর চাই, সে যেন আমাকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করে। তার কাছ থেকে আমি যেন আর্থিক নিরাপত্তা পাই। কারণ, আমাদের পেশা অনিশ্চয়তায় ভরা। আর সে আমার কাজকে যেন সম্মান করে। বিয়ের পর আমি যেন কাজ করে যেতে পারি। আর আমাদের যা থাকবে, তাতেই যেন আমরা খুশি থাকি।’
বলিউডে এখন বিয়ের ধুম চলছে। ম্রুণালকে নিয়েও নানান গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তাই বিয়ের প্রসঙ্গ তুলতেই এই বলিউড অভিনেত্রী লাজুক হেসে বলেন, ‘কী ব্যাপার বলুন তো, যেখানেই যাই, আমাকে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করেন, আমার হাত কবে হলুদ হবে? এমনকি বাড়িতেও নিস্তার নেই। গতকালই বাবা বিয়ের কথা বলছিলেন। এখন ক্যারিয়ারের এক দারুণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছি। সময়টা এখন উপভোগ করতে চাই। সঠিক সঙ্গী না পাওয়া পর্যন্ত বিয়ে করার প্রশ্নই ওঠে না।’
বলিউডে সবচেয়ে পছন্দের দম্পতি কারা, জবাবে ম্রুণাল বলেন, ‘এক দম্পতিকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, তারা হলো শহীদ আর মিরা। এই জুটি আমার ভীষণ পছন্দের। শহীদ আর মিরা একে অপরকে দারুণভাবে সাপোর্ট করে। একটি দাম্পত্য সম্পর্কে যা সবচেয়ে জরুরি। আর মিরা দারুণ সুন্দরী, প্রতিভাময়ী। সেটে সে একাধিকবার এসেছে। তার মতো প্রাণবন্ত মেয়ে আমি কম দেখেছি।’