শিরোনাম
অভিনেতা জায়েদ খান বলেন, শুধু শিল্পীদের সংগঠন নয়, তারা পুরোপুরি ইন্ডাস্ট্রিকে ছোট করেছেন। চলচ্চিত্র অঙ্গনের ১৭টি সংগঠনের সঙ্গে শিল্পী সমিতির দূরত্ব তৈরি হয়েছিল জায়েদ খানকে ঘিরে। তবে সম্প্রতি সংগঠনগুলো আবার এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেতা জায়েদ খান।
সেখানে তিনি বিভিন্ন মহল ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ করেন।
চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের সঙ্গে শিল্পী সমিতির দ্বন্দ্বের সূত্রপাত জানতে চাইলে জায়েদ বলেন, কেন বা কী নিয়ে এই দূরত্ব, আমি জানি না। লিখিত কোনো কাগজও পাইনি। হাতেগোনা কটি সংগঠনের চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তিগত স্বার্থে আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েছিলেন। পরে আমার সঙ্গে সঙ্গে মিশা ভাইয়ের বিরুদ্ধেও উঠেপড়ে লেগেছিল। আমরা এখন এক, এতেই আমি খুশি।
এসব কর্মকাণ্ডে সংগঠনের ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু শিল্পীদের সংগঠন নয়, তারা পুরোপুরি ইন্ডাস্ট্রিকে ছোট করেছেন। তারা টার্গেট করে আমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবে লোক দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা চলচ্চিত্র অঙ্গনকে মানুষের কাছে সার্কাসে পরিণত করেছেন।
গত নির্বাচনে অভিনেতা দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমীর সঙ্গে দূরত্ব ও পরবর্তীতে মিমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন ও সিনেমা দুটি দুই জায়গায়। নির্বাচন এখনও অনেক দেরি। কিন্তু কাজের সময় আমরা সবাই এক। আর সিনেমার মহরতের দিন এমনিতেই মিষ্টিমুখ করানো হয়।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিল্পী সমিতির নেতা হয়ে কী কী করেছেন?
করোনাভাইরাসের সময়ে আমরা সবার পাশে ছিলাম। আমাদের সময়ে চলচ্চিত্রশিল্পীদের জন্য একটি ট্রাস্ট আইন পাস হয়েছে। আমাদের কিছু অভিনয়শিল্পী আছেন অসচ্ছল। তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই।
নির্বাচনের আগে অসচ্ছল প্রায় ২০০ শিল্পীকে সহায়তা বঞ্চিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কাউকে বাদ দিইনি। কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তে আমরা যাচাই-বাছাই করে কিছু শিল্পীকে পূর্ণ থেকে সহযোগী শিল্পী করেছি। কারণ, তারা অনেকেই চলচ্চিত্রে একদমই নিয়মিত নন। কেউ মাছ বিক্রি করেন, সেলুনের কাজ করেন। তারা অভিনয়ে নিয়মিত হলে আবার ভোটাধিকার পাবেন। কোনো ব্যক্তিস্বার্থে নয়, যা হয়েছে সবই সংগঠনের নিয়ম মেনে।