সুবাহকে ডিভোর্স দিয়ে কারিনের সঙ্গেই সংসার করবো : ইলিয়াস

ফানাম নিউজ
  ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:২৫

বিয়ের এক মাস না পেরুতেই তরুণ প্রজন্মের সুপরিচিত গায়ক ইলিয়াস হোসাইন ও অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রার সংসারে ভাঙনের সুর বাজছে। সুবাহকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী কারিন নাজের সঙ্গে সংসার করতে চান এই গায়ক। এমনকি সুবাহর বিরুদ্ধে ফাঁসিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে থানায় জিডি করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস বলেন, 'আমি কেন, দুনিয়ার কেউ ওর (সুবাহ) সঙ্গে সংসার করতে পারবে না। ওর সাথে বিয়ে না হওয়াতে নাসির অনেক ভাগ্যবান। অল্প কয়েকদিনে যা দেখলাম, তা বলার বাহিরে। আমার নামে যাতে বদনাম করতে না পারে, সেই জন্য বিয়ে করেছি। কেউ যাতে কোনো ধরনের বদনাম না দিতে পারে। আমি সুবাহকে ডির্ভোস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি কারিনের সঙ্গেই থাকতে চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'সুবাহ আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। ও (সুবাহ) ভালো করেই জানত, আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে দূরত্ব চলছিল। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। যেটা আমি বুঝতে পারিনি। বিয়ে না করলে আমার মানসম্মান, ক্যারিয়ার শেষ করে দেয়ার হুমকিও দিয়েছে। সুবাহ বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্নভাবে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতেছিল। মানসম্মানের কথা চিন্তা করে এতদিন চুপ ছিলাম। কয়েকদিন ধরে একের পর এক আপত্তিকার ঘটনা ঘটছে, যা আমার জন্য বিব্রতকর। পরে ভেবে দেখলাম, সত্যটা সবার জানা উচিত। আর তাই মুখ খুলতে বাধ্য হলাম।'

এই গায়কের ভাষ্য, সুবাহর সঙ্গে আমার আড়াই বছরের পরিচয়। তবে বেশি কাছাকাছি আসা হয় আড়াই মাস হবে। বন্ধু হিসেবে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করেছিলাম। তবে বুঝতে পারিনি আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে ফাঁসাবে। বিয়ে তো আমি করতে চাইনি। জোর করে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না।'

দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স প্রসঙ্গে ইলিয়াস জানান, 'আমাদের ডির্ভোস হয়নি। ডির্ভোস দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করে সুবাহ। কারিন আমার স্ত্রী৷ মাঝে কারিনের সঙ্গে কয়েক মাস আমার যোগাযোগ ছিল না। আর সেই সুযোগটা সুবাহ নিয়েছে। বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করেছে। পরে আমি কাগজ পাঠিয়েছি। তবে কারিনকে সাইন করতে না করে দিই। কারিনের সঙ্গে ডির্ভোস হওয়ার এক বছর পর বিয়ের কথা জানাবে বলেছিল সুবাহ। কিন্তু বিয়ের দশ দিনের মাথায় ছবি প্রকাশ করে৷ আমার আড়ালে ছবি তুলেছে। আমার ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও দিয়ে সুবাহ আমাকে প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করেছে। বিয়ে না করলে এগুলো নেটে ছড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। সেই ভয় থেকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি।'