শিরোনাম
‘এক প্লেট ফুচকা কেনার বাড়তি কোন টাকা তেমন কারো কাছেই থাকতো না। ভাগে কিনতাম। ২-৩ জন মিলে এক প্লেট।সেই ভাগেও আমি কোনদিন টাকা শেয়ার করতে পেরেছি বলে মনে পড়ে না!’
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ২৭ বছর আগের আবেগঘন স্মৃতির আর্থিক টানাপোড়েনের কথা স্মরণ করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি।
এই ফেসবুক স্ট্যাটাসে তুলে ধরেছেন ২৭ বছর আগে জনপ্রিয় নাট্যকার বৃন্দাবন দাসকে নিয়ে শুরু করা সংসার জীবনের কিছু অনুভূতির কথা। শাহনাজ খুশি এর আগেও টেলিভিশন টক শো তে বিয়ের পর তাদের কষ্টের দিনগুলো ও সংগ্রামের কথা দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করেন। অভিনয় শুরুর জীবনে কতটা বাধা ও সংগ্রাম করতে হয়েছে, সেটিও প্রকাশ করেন।
শাহনাজ খুশি বরাবরই তার অতীত জীবনের সোজাসাপ্টা সত্য কথা দর্শকদের সঙ্গে অকপটে শেয়ার করেন। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
“অনেকদিন পর, কাল বেইলি রোডে, শাড়ির দোকান থেকে বের হতে গিয়ে ফুচকা দোকানের মামার মামা ডাক শুনে দাঁড়িয়ে গেলাম! ফুচকা মামার জোরাজুরিতে এক প্লেট ফুচকা নিতে হলো। ২৭ বছর আগের দিনগুলোর চলমান স্মৃতি ক্রমেই চোখ দুইটা ঝাপসা করে দিল!
তখন তুখোড় থিয়েটার কর্মী। রিহার্সেল শেষ করে যেমন পেতো ক্ষিদা, ঠিক তেমন জোরাল ছিল ফুচকা/কাঁচামরিচ/পেঁয়াজ/ধনেপাতা কুঁচির অপূর্ব ঘ্রাণ!! কিন্তু এক প্লেট ফুচকা কেনার বাড়তি কোন টাকা তেমন কারো কাছেই থাকতো না।
ভাগে কিনতাম। ২-৩ জন মিলে এক প্লেট। সেই ভাগেও আমি কোনদিন টাকা শেয়ার করতে পেরেছি বলে মনে পড়ে না!!
আজও আমি একেবারেই বিত্তবান নই।কিন্তু এক সাথে অনেক প্লেট ফুচকা কিনতে পারি!! শুধু কোন ভাবেই পারি না, সেই দিনগুলা ধরতে‼ আর ফুচকার মতো করে অনেক ছোট ছোট আবেগ ভরা, না পারার হাহাকার মুছে ফেলতে‼ চোখটা বার বার ঝাঁপসা হচ্ছে আজ! চোখের পানি লাগলে কি ফুচকা বেশি বেশি নোনতা লাগে⁉”