শিরোনাম
বয়স নিয়ে দীপা খন্দকারের কোনো লুকোচুরি নেই। বলেন, ‘ভাই, বয়সে কী যায়–আসে। আমি এই বছর ৪৩-এ পড়লাম। আমার কাছে বয়স লুকানোর কিছু নেই। মনের সৌন্দর্যটাই আসল।’
অভিনয়শিল্পী দীপা খন্দকারের রোববার ছিল জন্মদিন। দিনটি শুটিং সেটেই কাটিয়েছেন। চলছে ধারাবাহিক ‘গুলশান অ্যাভিনিউ সিজন টু’র শুটিং। জানালেন বিশেষ এই দিনে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে তাঁর মেয়ের জন্য। মাকে নিয়ে তাঁর সাত বছরের মেয়ের নানা রকম সারপ্রাইজ থাকে। সেসবেরই অপেক্ষায় আছেন এখন দীপা। ‘সন্ধ্যায় বাসায় গেলে মনে হবে, জীবনটাই ধন্য। কারণ, আমি জানি সে তার খালাকে নিয়ে অনেক কিছু রান্না করবে, অনেক কেনাকাটা করে আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার চেষ্টা করবে। এবার যে কী করবে, জানি না। আমাকে কিছু বুঝতে দেয় না। তবে আমার জন্মদিনে তারই সবচেয়ে বেশি পরিকল্পনা থাকে। এতটুকু বলতে পারি, সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলে একদম চমকে যাব। সে জন্য আমি সন্ধ্যার অপেক্ষায় আছি,’ বলেন দীপা।
জন্মদিনে দীপার মনে হয়, এই তো সেদিন তিনি অভিনয়ে এসেছিলেন। প্রথমে কোনো কিছু না বুঝেই শুরু করেছিলেন বিজ্ঞাপনের শুটিং। ‘লাইট–ক্যামেরা–অ্যাকশন কিছুই বুঝতাম না,’ বলেন দীপা। কিছুদিন পরেই শুরু করেন প্রথম কোনো নাটকের শুটিং। সেই স্মৃতি স্মরণ করে দীপা বলেন, ‘প্রথম নাটকের শুটিংয়ের দিন খুব ভয়ে ছিলাম। আমার সহশিল্পী ছিলেন মাহফুজ আহমেদ। প্রথম দৃশ্যই ছিল বাসরঘরের মধ্যে। পরিচালক বাসরঘরের দৃশ্য বলার পর থেকেই ভয় লাগছিল। পরে শুটিংয়ে গিয়ে একদম স্বাভাবিকভাবে অভিনয় করি। প্রথম দৃশ্যই বেশ ভালো হয়েছিল। নাটকে তাজিন (আহমেদ) আপু ছিলেন। নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার ছিলেন। সবাই খুবই সহযোগিতা করেছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, অভিনয়টা আমি পারব।’
দীপা খন্দকার ‘ভাইজান এল রে’ সিনেমায় শাকিব খানের বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সম্প্রতি খলনায়িকা চরিত্রে ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের তৃতীয় চলচ্চিত্র। এর মধ্যে তাঁর অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুখ আসমান’, ‘কোয়ারেন্টাইন ২’ মুক্তি পেয়েছে। বর্তমানে ছোট পর্দার নাটক নিয়েই তাঁর ব্যস্ততা। ‘গুলশান অ্যাভিনিউ-২ ’ ও ‘বাকরখানি’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন দীপা খন্দকার। দুটি নাটকের শুটিং করতেই মাসের বেশির ভাগ সময় কেটে যায়।