শিরোনাম
বেশ কয়েক বছর আগের কথা, বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত সালমান খান একের পর এক সিনেমা করেই যাচ্ছেন। বেশির ভাগ ছবিই বক্স অফিসে হিট করছে। ঠিক এমন সময় ‘তেরে নাম’ সিনেমায় অভিনয় করার প্রস্তাব পান। এ অভিনেতার কাছের লোকজন ছবিটি ফিরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ঘনিষ্ঠরা বারবার সলমনকে এই ছবি ফিরিয়ে দেওয়ার উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ‘ভাইজান’ কার কথা কবেই শুনেছেন! সব বাধা পাশ কাটিয়ে এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
ওই সময় অন্য একটি ছবিতেও কাজ করছিলেন সালমান। ভেবেছিলেন দুই ছবির কাজ একসঙ্গে সামলে নেবেন। কিন্তু বিপাকে পড়েন ‘তেরে নাম’-এর প্রযোজকের আবদারে!
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এসে সেই গল্পই ফাঁস করলেন ‘টাইগার’। বললেন, একদিন ছবির প্রযোজক এবং আমার প্রিয় বন্ধু সুনীল মনচন্দ এসে বলল আমাকে সব চুল ফেলে দিতে হবে। তা হলেই নাকি সেই চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হতে পারব। আরও ভালভাবে অভিনয় করতে পারব।
এদিকে হাতে থাকা অন্য একটি ছবির শ্যুটের মাঝেই চুল ফেলে দেবেন কি না, তা নিয়ে দোটানায় ভুগছিলেন সালমান। কিন্তু প্রযোজকও তখন নাছোড়বান্দা। অগত্যা বাধ্য হয়ে রেগে গিয়ে নিজেই নিজের সব চুল ফেলে ন্যাড়া হয়ে যান। হয়ে ওঠেন বদরাগী ‘রাধে’।
তিনি বলেন, একদিন কিছু না ভেবেই রেগে গিয়ে আমি সব চুল ফেলে দিলাম। এর পরেই আমি সুনীলকে ফোন করে জানাই ছবির জন্য আমি রাজি।সবাই আমার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু কোনো কারণে আমি এই চরিত্রটা করতে চেয়েছিলাম।
সালমানের সিদ্ধান্ত যে ভুল নয়, তা প্রমাণ করেছিল ‘তেরে নাম’-এর সাফল্য। প্রায় দু’দশক পরেও তাই এলোমেলো, বদমেজাজি ‘রাধে মোহন’কে (ছবিতে তার চরিত্রের নাম) মনে রেখেছেন সিনেপ্রেমীরা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা