শিরোনাম
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা জুটি সালমান শাহ-শাবনূর। প্রয়াত এই নায়কের অভিনীত সর্বাধিক সিনেমার নায়িকা শাবনূর। মোট ১৪টি সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তারা। এই জুটির প্রতিটি ছবিই সুপারহিট। তাদের পর্দার রসায়ন ছিল নজরকাড়া। বাস্তব জীবনের রসায়ন নিয়েও তুমুল আলোচনা হতো। সালমান শাহের সঙ্গে শাবনূরের সে সময়কার সম্পর্ক নিয়ে এখনো কম-বেশি চর্চা হয়। সূত্র: আরটিভি
আজ রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপুত্র সালমান শাহ'র ৫০তম জন্মদিন। বেঁচে থাকলে ৫১ বছরে পা দিতেন অসংখ্য ভক্তের এই স্বপ্নের নায়ক। তবে মৃত্যুর দুই যুগ পরেও আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা তার। বিশেষ এই দিনে সালমান শাহকে স্মরণ করছে তার ভক্তরা। পাশাপাশি সিনেমা জগতের তারকা এবং তার সহশিল্পীরাও ভালোবাসা জানাচ্ছেন। তবে অন্যদের চেয়ে সালমান শাহকে ঘিরে শাবনূরের আবেগ, স্মৃতি একটু বেশি। আর তাই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন ঢাকার চলচ্চিত্রের একসময়ের দাপুটে এই অভিনেত্রী।
শাবনূর বলেছেন, ‘সালমান শাহ, এমন একটি নাম যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সোনালি সময়। অতি অল্প সময়ে অগণিত ভক্তের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। প্রতি বছর এদিন কোটি ভক্তের হৃদয় আলোড়িত করে সালমান শাহ ফিরে আসেন ক্ষণিকের জন্য। অকাতর ভালোবাসা অঞ্জলি নিয়ে ফিরে যান অযুত নক্ষত্র ভিড়ে। ভালো থেকো সালমান শাহ, প্রতিদিন; যেখানেই আছো।’
৯০ দশকের শ্রেষ্ঠ নায়ক সালমান শাহ। অনেকে মনে করেন, অল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন বলেই এত দ্যুতি ছড়াতে পেরেছিলেন সালমান, কেটে গেছেন দাগ। যে দাগ তার প্রস্থানের টানা এতো বছর পরেও সমুজ্জ্বল। তার অনুপস্থিতি আর অকাল প্রস্থান আজও পোড়াচ্ছে বাঙালির মন।
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্রে অভিষেকের আগের বছর অর্থাৎ ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট তার খালার বান্ধবীর মেয়ে সামিরা হককে বিয়ে করেন সালমান শাহ। সামিরা ছিলেন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী। তিনি সালমানের দু’টি চলচ্চিত্রে তার পোশাক পরিকল্পনাকারী হিসেবেও কাজ করেন। দাম্পত্য জীবনের পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎই সালমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এদিন ঢাকার ইস্কাটনে নিজ বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে 'আত্মহত্যা' বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে।