কবে বিয়ে করবেন, জানালেন মিম

ফানাম নিউজ
  ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৮:০৩

ছয় বছর আগে পরিচয়। তারপর বন্ধুত্ব। এরপর মন দেওয়া-নেওয়া। দীর্ঘসময় বোঝাপড়া শেষে বিয়ের সিদ্ধান্ত। নিজের জন্মদিনেই বিশেষ মানুষটিকে প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম।

মিমের হবু স্বামীর নাম সনি পোদ্দার। কুমিল্লার ছেলে। ঢাকা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা তিনি। দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ঢাকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। এখন সবার প্রশ্ন, মিমের বিয়ে কবে?

মিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনও বিয়ের পরিকল্পনা করি নাই। আগামী বছর ডিসেম্বরে হতে পারে বা তার পরের বছরেও হতে পারে।’

এক যুগের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অনেকের সঙ্গেই মিমের প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে কোনোটাই সত্যি হয়ে সামনে আসেনি। এদিকে মিম যে সনির সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন সে বিষয়ে কাকপক্ষীও টের পায়নি। নিজেদের সম্পর্ককে গোপন রেখেই কাটিয়েছেন ছয় বছর।নিজের পছন্দের ছেলেকে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মিম। বাবা-মা রাজি হওয়ায় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

সনির সঙ্গে পরিচয়ের গল্প জানিয়ে মিম বলেন, 'ওর (সনি) সঙ্গে আমার পরিচয় সানজিদা অর্নি নামের এক বান্ধবীর মাধ্যমে। সেটাও আবার ফেসবুকে। অর্নির সঙ্গে সনি তখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে চাকরি করত। অর্নি আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করত আমার লাইফে কেউ আছে কি না, কারও সঙ্গে প্রেম করি কি না। আমি একবার মজার ছলেই ওকে বললাম, খোঁজ পেলে দেখ। এরপর ও বলে, দোস্ত একটা ভালো ছেলে আছে। কথা বলবি? আমি সরাসরি না করে দেই। কারণ চিনি না, জানি না, কেন কথা বলব! অর্নি বলল, বন্ধু হিসেবেই কথা বল। তাই নরমালি বন্ধু হিসেবে কথা বলা শুরু।'

তিনি আরও বলেন, 'ফেসবুকে তিনজন মিলে গ্রুপ খুলল। সেই গ্রুপেই কথা বলতাম আমরা। কিছুদিন কথা বলার পর সনি আর আমি মিলে আলাদা কথা বলা শুরু করি! এটা আমার বান্ধবীও জানত না। ও জিজ্ঞেস করত, কথা হয় কি না। আমি বলতাম, না হয় না তো! অনেক দিন পরে গিয়ে ও জানতে পারে।’

প্রথম দেখা করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে নায়িকা বলেন, ‘আমাদের প্রথম দেখা হয় গ্লোরিয়া জিনস রেস্টুরেন্টে। এটা ২০১৬ সালেই। আমি তখন খুব নার্ভাস ছিলাম। কারণ প্রথম একটা মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। তার মধ্যে আবার ভয় ছিল, মা যদি জানে, তাহলে তো খবর আছে! আবার কেউ যদি দেখে ফেলে! সব মিলে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া ছিল। তাই বেশিক্ষণ ছিলাম না। অল্প কিছুক্ষণ থাকার পর তাড়াতাড়ি বের হয়ে চলে আসি।’