শিরোনাম
আলোচিত ‘বাবু খাইছো’ গানের শিরোনাম, কথা, সুর চুরি ও বিকৃত করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় হিরো আলম ও আতাউর রহমান মমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের অব্যাহতি দেন। ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা খুঁজে না পাওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি উপপরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ বিষয় শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য ছিল।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলার সার্বিক তদন্ত, সাক্ষীদের জবানবন্দি বিশ্লেষণ, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা, বিশেষ বিশ্লেষণসহ অন্যান্য তথ্য-প্রমাণে প্রতীয়মান হয় যে, ‘বাবু খাইছো’ শিরোনামের দুটি গানের শুধুমাত্র ‘বাবু খাইছো’ ছাড়া গানের অন্যান্য কথা ও সুরের মধ্যে কোনো সাদৃশ্য পাওয়া যায়নি। প্রকাশিত গানের ‘বাবু খাইছো’ শিরোনামের জন্য গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। এ দুটি শব্দ, উপস্থাপনের প্রকাশভঙ্গি ও সুর সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় পরে প্রকাশিত ও আগে প্রকাশিত গানের জনপ্রিয় অংশের আংশিক কপি করা হয়েছে।
‘বাবু খাইছো শব্দ দুটির প্রাধান্য দিয়েই গানটি পরিবেশিত হয়েছে মর্মে কপিরাইট বিশেষজ্ঞের মতামত হতে জানা যায়। তবে কপিরাইট আইন, ২০০০ এর ৬০ ধারায় কোনো কর্মের কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা হলে উক্ত কপিরাইট সনদ সব আদালতের মূল দলিল বা মূল কপির উপস্থাপন ব্যতীত সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করা হলেও মামলার বাদী কিংবা বিবাদী কেউ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন দাখিল করেনি এবং কারও নামে কপিরাইট ইস্যু করা হয়নি মর্মে তদন্তে প্রতীয়মান হয়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘সার্বিক তদন্তে বাদী মীর শাহরিয়ার মাসুম কর্তৃক বিবাদী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ও আতাউর রহমান মমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২২(২)/২৩(২)/২৪(২) ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সাক্ষ্য প্রমাণে প্রমাণিত না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।’
এর আগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হিরো আলম ও আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মীর শাহরিয়ার মাসুম বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, সম্প্রতি তুমুল আলোচনায় আসা ‘বাবু খাইছো’ গানটি মীরের সুরে লিখেছেন ও গেয়েছেন তারই ছোট ভাই ডিজে মারুফ। এটি ৫ সেপ্টেম্বর ঈগল মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশ হয়। এরপর ইউটিউব, ফেসবুক হয়ে তুমুল জনপ্রিয় ও ভাইরাল হয় গানটি। গানটির মাধ্যমে সাম্প্রতিক প্রেমিক-প্রেমিকাদের কিছু অসঙ্গতি বা কালচার মজার ছলে তুলে আনেন মীর ব্রাদার্স।
এ গানটির সাফল্য দেখে হিরো আলমও তার অনুকরণে নিজের গানটি তৈরি করেছেন। মীর ব্রাদার্সের অভিযোগ, গানটির শিরোনাম, চুম্বক অংশ ও সুর হুবহু নকল করেছেন হিরো আলম। তাদের আরও দাবি, এ গানটি তৈরির মাধ্যমে মূল গান, শিল্পী ও শিল্পের মানহানি করেছেন হিরো আলম।
সূত্র: জাগো নিউজ