শিরোনাম
দেশের গুণী নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। ২০০১ সালে প্রথম নির্মাণ করেন খণ্ড নাটক ‘শেষ বেলায়’। তবে টিভিতে প্রচার হওয়া প্রথম নাটক ‘এক জীবনে’। আজ শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তার নাট্যনির্মাণের ২০ বছর পূর্ণ হলো।
নির্মাতা হিসেবে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে চয়নিকা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আসলে এই ২০ বছরের পথ চলা এতো সহজ ছিল না। মনে হচ্ছে এইতো সেদিন, আসলে সেদিন না, বিশাল একটা জার্নি। এখানে কিন্ত পথ চলাটা মসৃণ ছিল না, ছিল বন্ধুর, উঁচু-নিচু অনেক প্রতিবন্ধকতা। ফ্যামিলি থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা পাইনি, তাদের পূর্ণ সাপোর্ট পেয়েছি। যদিও পরিচালকের কোনো জেন্ডার নেই, কিন্তু একজন মেয়ে হিসেবে অনেক ভালো-মন্দ দেখেছি।'
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো মানুষ দেখেছি, খারাপ মানুষও দেখেছি। ভালোবাসা পেয়েছি, আবার পাশাপাশি অপমান, অবজ্ঞাও পেয়েছি। এসব উৎরিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে আসলে কাজটাই আসল। এমনও হয়েছে আমি একটা স্ক্রিপ্ট নিয়ে গিয়ে ৪ ঘন্টা বাইরে বসে ছিলাম। আমাকে কেউ পাত্তাই দেয় নি।’
তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এসব ঘটনা নিয়েই গর্ববোধ করেন চয়নিকা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যা হয় ভালোর জন্যই হয়। আমি খুব গর্ববোধ করি। এসব ঘটনায় আমার আস্থা বেড়েছে এবং আমি আরও অভিজ্ঞ হয়েছি।’
চয়নিকা চৌধুরী ২০ বছরে চার শতাধিক খণ্ড নাটক, ১৬টি ধারাবাহিক নাটক এবং 'বিশ্বসুন্দরী' শিরোনামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে তিনিই প্রথম সবচেয়ে বেশি নাটক ও ধারাবাহিক নির্মাণ করেছেন। চলতি মাসেই চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নিয়ে নতুন একটি ওয়েব ফিল্মের শুটিং শুরু করার কথা ছিলো নির্মাতার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তির হিসেব না করে তার পথচলায় সব শিল্পী, কলাকুশলী, সহকর্মী ও দর্শকদের ভালোবাসা জানিয়েছেন চয়নিকা চৌধুরী।