শিরোনাম
আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) আদালতে উঠেছে আরিয়ান খানের মাদক মামলা। এর আগেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হাতে এসেছে নতুন তথ্য। এক উঠতি নায়িকার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে মাদকের বিষয়ে কথা বলতেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। আর সেই চ্যাটের ডিটেইলস আদালতের হাতে তুলে দিয়েছে এসসিবি কর্মকর্তারা।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, উঠতি বলিউড অভিনেত্রী ছাড়াও এক মাদক পাচারকারীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে মাদক-সংক্রান্ত কথাবার্তা হয়েছে আরিয়ানের। সে তথ্যপ্রমাণও আদালতের কাছে জমা পড়েছে।
প্রথম থেকেই আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ওপর জোর দেয় এনসিবি। দাবি করা হয়েছে, মাদক নিয়ে অনেকের সঙ্গেই কথা হত আরিয়ানের। মাদক পাচারকারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার। শাহরুখপুত্রের চ্যাট থেকে আন্তর্জাতিক যোগও খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি করেছে এনসিবি।
বর্তমানে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলে বন্দি আরিয়ান খান। তার পরিচিতি ‘কয়েদি নম্বর ৯৫৬’। কারামুক্ত হয়ে নিজের ভুল শুধরাতে চান তিনি। স্বাভাবিক জীবনে সমাজের দুস্থ মানুষের জন্য কাজ করবেন। পিছিয়ে পড়া মানুষদের মূলস্রোতে ফেরানোর চেষ্টা করবেন শাহরুখপুত্র। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) মুম্বাই ইউনিটের ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে আরিয়ান কথা দিয়েছেন, একদিন গর্ব করার মতো কাজ করবেন তিনি।
কারাগারের প্রকোষ্ঠে মনোবিদ দিয়ে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে আরিয়ান খানকে। এই কাউন্সেলিংয়ে তাকে ধর্মগ্রন্থ পড়ানো হচ্ছে। মুসলিম হওয়ায় আরিয়ানকে কোরআন পড়তে দেওয়া হয়েছে। মূলত তাকে দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতেই এই প্রচেষ্টা।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। তাকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় লেখা রয়েছে- ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।