শিরোনাম
প্রয়াত অভিনেতা অলিউল হক রুমিকে বরগুনায় তার মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় স্থানীয় আবুল হোসেন ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জানাজা।
তারপর পৌর গণকবরে মায়ের পাশে সমাহিত হন রুমি। সমাহিত হওয়ার আগে তাকে বাংলাদেশ অভিনয় শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
ঢাকা থেকে বিকালের দিকে রুমির লাশবাহী গাড়ি এসে বরগুনার পৌঁছায়। রুমি আজ ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
রাজধানীর শহীদবাগ এলাকায় সকাল ৯টায় রুমির প্রথম জানাজা হয়েছে। এরপর গ্রামের বাড়ি বরগুনার পথে নিয়ে রওয়ানা দিয়েছে। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে। নির্মাতা থেকে অভিনয়শিল্পী, কেউই রুমির মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।
অভিনয়ে তিন দশকের বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। অভিনয় নৈপুণ্য দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে করেছেন। পর্দায় তার উপস্থিতি বাড়তি আনন্দ দিয়েছে দর্শকদের।
২০০৯ সালে ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন রুমি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘সাজেশন সেলিম’, ‘বোকাসোকা তিনজন’, ‘মেকআপ ম্যান’, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘ঢাকা মেট্রো লাভ’, ‘বাপ–বেটা দৌড়ের উপর’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ-৫ ’, ‘যমজ-৬ ’, ‘যমজ-৭ ’, ‘যমজ-৮’, ‘যমজ-৯ ’, ‘যমজ-১০ ’, ‘রতনে রতন চিনে’, ‘সোনার শিকল’, ‘কমেডি ৪২০ ’, ‘প্রেসিডেন্ট সিরাজউদ্দৌলা’, ‘আকাশ চুরি’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি।
মাসখানেক আগে হঠাৎ করেই রুমির শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ভারতে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এ অভিনেতা।