শিরোনাম
সিনেমাকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। যে কোনো বার্তা এই মাধ্যম দিয়ে সহজে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। তাই সিনেমা দিয়ে দেশের মানুষের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি দেশের সরকার এটি নির্মাণ ও মুক্তির নীতিমালা প্রণয়ন করে।
নীতিমালার বাইরে কোনো সিনেমা নির্মিত হলে সেই সব দেশের সরকার তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে মুক্তি পাওয়ার পর সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি আঘাত লাগার মতো কোনো বিষয় তৈরি হলে সেই সিনেমা নিষিদ্ধ করা হয়। এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রত্যেকটি দেশে যথাযথ কর্তৃপক্ষ রয়েছে। ভারতের চলচ্চিত্রশিল্পও এর বাইরে নয়।
ভারতে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা মুক্তির আগেই অনেক সিনেমা বিতর্কের ঝড় তুলেছে ঝড় তুলেছে। এমনকি আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। সেসব সমস্যা কাটিয়ে কিছু সিনেমা শেষ পর্যন্ত মুক্তির আলো দেখেছে। অধিকাংশই নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রেক্ষাগৃহ পর্যন্ত আর পৌঁছায়নি। তবে ভারতে নিষিদ্ধ সেই সিনেমাগুলোই এবার দেখা যাবে ওটিটিতে।
গারবেজ: কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের লেখা এবং নির্দেশিত এ সিনেমা ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ত্রিমালা অধিকারী, তন্ময় ধনানিয়া, শ্রুতি বিশ্ববান, শতরূপা দাস, সচিথ পুরাণিক প্রমুখ। ৬৮তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্যানোরমা বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছিল ‘গারবেজ’। এ সিনেমায় ফানেশ্বর নামের গোয়ার এক ট্যাক্সি ড্রাইভার বাড়িতে এক নারীকে বন্দী করে রাখেন। সেই নিয়েই গল্প। তবে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। এখন এটি ওটিটিতে দেখা যাচ্ছে।
ফায়ার: দীপা মেহতা রচিত এবং নির্দেশিত ইন্দো-কানাডিয়ান রোমান্টিক ড্রামা ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায়। অভিনয় করেছেন শাবানা আজমি এবং নন্দিতা দাস। দুই সমকামী নারীর জীবন অবলম্বনে নির্মিত এ সিনেমা ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিও স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন ইউটিউব এবং অনলাইনে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে।
অ্যাংরি ইন্ডিয়ান গডেস: জঙ্গল বুক অফ এন্টারটেনমেন্টের ব্যানারে পান নলিন নির্মিত এ ড্রামা ফিল্ম প্রযোজনা করেন গৌরব ধিংরা এবং পান নলিন। ২০১৫ সালে এটি মুক্তি পায়। আদিল হুসেনের সঙ্গে, সন্ধ্যা মৃদুল, তন্নিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়, সারা-জেন ডায়াস, অনুশকা কাচন্দা, অমৃত মাঘেরা, রাজশ্রী দেশপান্ডে এবং পাভলিন গুজরাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
২০১৫ টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বিশেষ স্ক্রিনিং বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছিল। পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডের রানার আপও হয়েছিল। এ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। সাহসী বিষয়বস্তুর কারণে, সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি, তবে এখন ওটিটি এবং ইন্টারনেটে দেখা যাচ্ছে।
পাঞ্চ: অনুরাগ কাশ্যপের লেখা এবং নির্মিত ক্রাইম থ্রিলার ‘পাঞ্চ’ ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহের মুখ দেখেনি। কে কে মেনন, আদিত্য শ্রীবাস্তব, বিজয় মৌর্য, জয় ফার্নান্দেজ এবং তেজস্বিনী কোলহাপুরে অভিনীত এ সিনেমা এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে।
আন-ফ্রিডম: রাজ অমিত কুমার নির্মিত আন-ফ্রিডম ২০১৪ সালে ‘কেরলা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ প্রদর্শিত হয়েছিল, কিন্তু সিনেমা ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে প্রেক্ষাগৃহে এটি মুক্তি পায়নি। সমকামীদের নিয়ে গল্প বুনেছে ‘আন-ফ্রিডম’। তবে সিনেমাটি এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে।