শিরোনাম
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক নীতির ভিত্তিতেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যখন তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করছিল, তখন কুমিল্লার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত তুলে ধরেছেন দেশের খ্যাতিমান অভিনেত্রী ও সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফা।
তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘গত কয়েক দিন ধরে এক বিশ্রী অনুভূতির মধ্যে বসবাস করছি। গ্লানি, দুঃখ, ক্ষোভ সব কিছু মিলেমিশে একাকার। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যেন কালো একটা পর্দা পড়ে গেল।
ত্রিশ লাখ শহীদ আর তিন লাখ নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগকে অসম্মানিত হতে দেখলাম। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলাকে ধর্মের ধুয়াধারীরা কলুসিত করতে উদগ্রীব। কিন্তু আর না...।
নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে হবে। দেশকে এই কুচক্রীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। যারা ষড়যন্ত্র করে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তাদেরকে বলছি- বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ।
বাংলাদেশ এখন পুরোটাই ডিজিটাল। তোমরা সবাই চিহ্নিত, তোমাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, আইনের শাসন দিয়েই তোমরা শাস্তি পাবে। সহনশীল হবার দিন শেষ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ মানে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ধর্ম যার যার উৎসব সবার, সব ধর্মের প্রতি সমান সম্মান।
জগন্নাথ হল যখন ভেঙে পড়লো, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী, সাধারণ মানুষ, ডাক্তার, নার্স, সারাদিন সারারাত সবাই একসঙ্গে উদ্ধার কাজ, রক্ত দেওয়া, ওষুধ আনার কাজ করে গেছি। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই বাংলাদেশ আমরা ফেরত চাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনার সৈনিক। আপনি আদেশ করেন, ১৯৭১-এ পারিনি ২০২১-এ দেশের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয়তু শেখ হাসিনা।’