শিরোনাম
রোববার (২৬ মার্চ) হোটেল কক্ষে রহস্যজনকভাবে মারা যাওয়া নায়িকা আকাঙক্ষা দুবে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। মাত্র ২৫ বছরেই আত্মহত্যা করেন জনপ্রিয় ভোজপুরী এ অভিনেত্রী।
বেনারসের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় এ নায়িকার মরদেহ। ভোজপুরী সিনেমার জগতে আকাঙক্ষা বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি সিনেমার শুটিংয়ে বেনারস গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুটের পরে সারনাথ হোটেলে ফেরত যান আকাঙক্ষা।
তারপর আর তাকে হোটেল রুমের বাইরে দেখা যায়নি। এরপর সকালে তাকে ডাকতে যান নায়িকার মেকআপ আর্টিস্ট। সাড়া না পেয়ে কক্ষের তালা ভাঙা হয়। হোটেলের রুম থেকে উদ্ধার হয় জনপ্রিয় নায়িকার ঝুলন্ত মরদেহ।
তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগৎ। এই আচমকা মৃত্যুর কী কারণ, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন নায়িকা।
আত্মহত্যা করার কয়েক ঘণ্টা আগে ইনস্টাগ্রামে একটি লাইভ করেছিলেন আকাঙক্ষা। সেই লাইভেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। যদিও আকাঙক্ষা সেই ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন তবে এরই মধ্যেই টুইটারে ভাইরাল তার কান্নার ভিডিও।
কিন্তু সেই ভিডিওর কয়েক ঘণ্টা আগে আরও একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন আকাঙক্ষা। ভোজপুরী গান ‘হিলোর মারে’তে নিজের বেলি ড্যান্সিং স্কিল ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। নীল জিন্সের সঙ্গে কালো ক্রপ টপ পরে আয়নার সামনে নাচতে দেখা যায় তাকে।
আকাঙ্ক্ষার মৃত্যুর মর্মান্তিক খবরটি উঠে আসে তার মিউজিক ভিডিও ‘ইয়ে আরা কভি হারা নাহি’ মুক্তির দিনই। তাকে আর পাওয়ার স্টার পবন সিংকে একসঙ্গে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল অনুরাগীরা। শনিবার একটি পোস্ট শেয়ার করে ভক্তদের মুক্তির তারিখ ও সময়ও মনে করিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু এর মাঝেই ঘটে গেলো দুর্ঘটনা।
ব্যক্তিগত জীবনে সম্প্রতি কো-স্টার সমর সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক অফিশিয়ালি ঘোষণা করেন আকাঙক্ষা। এবারের ভালোবাসা দিবসে একটি পোস্ট শেয়ার করে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তারা ডেট করছেন। আকস্মিক তার মৃত্যুর খবর সামনে আসায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না সমরের সঙ্গে। অবশেষে তিনি একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন তিনি মর্মাহত।
উল্লেখ্য, ভোজপুরী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ড্রিম গার্ল খ্যাত এ নায়িকা মির্জাপুরের বিন্ধ্যাচলের বাসিন্দা। পরে মা-বাবার সঙ্গে মুম্বাই চলে যান তিনি। বাবা-মা যখন চেয়েছিলেন মেয়ে আইপিএস হোক, তখন রূপালি পর্দায় নিজের স্বপ্ন পূরণের পথ বেছে নেন আকাঙ্ক্ষা। ‘মেরি জং মেরা ফয়সলা’ নামের একটি সিনেমা অভিনয়ের পর ‘মুঝসে শাদি করোগি’ (ভোজপুরী), ‘বীরোং কে বীর’, ‘ফাইটার কিং’, ‘কসম পইদা করতে কেআই টু’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি। অল্প বয়সেই নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি।