শিরোনাম
নিজকে ১৮ থেকে ২০ বছরের তরুণ ভাবেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে উইকিপিডিয়া বলছে তার বয়স প্রায় ৪০ এর ঘরে। বিয়ে করেননি এখনো। তাই গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে পড়লেই বিয়ে করছেন কবে? এই প্রশ্নের মুখোমুখি হোন। হেসে উত্তরও দেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জায়েদ বললেন, 'যতদিন সংসার না করছি আমি ইয়াং। ব্যাচেলর থাকলে সংসার সামলাতে হয়। তাই নিজেকে ফ্যাশন সচেতনভাবে তুলে ধরি। তাছাড়া সংসার করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি লাগে সেই প্রস্তুতিটা আমার আসলে হয়নি। কবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হবে সেটা সময় বলে দেবে।'
কথাগুলোর অর্থ এই যে সহসাই বিয়ে করছেন ঢাকাই ছবির এই নায়ক।
তবে বিয়ের প্রশ্ন যে জায়েদ খানকে শুধু সাংবাদিকরাই করেন তা কিন্তু নয়। জুনিয়র, সমবসয়ী এবং সিনিয়র সহকর্মীদের থেকেও এমন প্রশ্ন শুনেন তিনি। তাদেরকেও একগাল হাসি দিয়ে প্রসঙ্গ পাল্টে যান।
ছাত্রলীলের সাবেক সেক্রেটারি আল নাহিয়ান খান জয় ও আওয়ামী লীগের আইন উপ-কমিটির সদস্য বায়োজিদের বিয়ের দুটি ছবি শেয়ার করেন শুভ কামনা জানিয়েছেন জায়েদ খান। এখানেও পোস্টের কমেন্টবক্সে এসে একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা নূতন টেনে আনলেন জায়েদ খানের বিয়ের প্রসঙ্গ।
নূতন অনেকটা মজা করেই লিখলেন, আমি আপনার (জায়েদ খান) এর বিয়ের খাওয়ার জন্য এখনো আমেরিকায় যাই না। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে বিয়ে খেয়ে তার পরে যাবো।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে কেন্দ্রীয় চরিত্রের পাশপাশি পার্শ্ব চরিত্রে প্রায় তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন নূতন। সত্তর-আশির দশকে সুজাতা, সুচন্দা, কবরী, শাবানা, ববিতার ভিড়ে তিনিও এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আলো ছড়িয়েছেন।
তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘রাজনর্তকী’, ‘পাগলা রাজা’, ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’, ‘বসুন্ধরা’, ‘প্রাণসজনী’ ‘প্রেমবন্ধন’, ‘স্ত্রীর পাওনা’, ‘মানসী’, ‘রাজমহল’, অবিচার’, ‘ফকির মজনু শাহ’। আব্দুল্লা চলচ্চিত্রে তিনি কৌতুক অভিনেতা দিলদারের বিপরীতে অভিনয় করেন। অপূর্ব নৃত্যশৈলীর কারণে তার সব ছবিই দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কীর্তনিয়া, শাস্ত্রীয়, কত্থক, ভারতনাট্যম, সর্পনৃত্য, বাউল, ফোক, আধুনিক, ওয়েস্টার্ন-চরিত্র অনুযায়ী নানা ধরনের নৃত্য সমাহারে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন।