শিরোনাম
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের জামিন মেলেনি। আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) মাদক মামলায় মুম্বাই সেশন কোর্টে জামিনের আবেদন করেন আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। তবে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে শুনানি শেষে বিচারক জানান, আগামী বুধবার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকছেন আরিয়ান। বুধবার তার পরবর্তী শুনানি।
জানা গেছে, আজ আরিয়ান খানের জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) আদালতের কাছে আরো সময় প্রার্থনা করলে আগামী ১৩ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন মুম্বাই সেশন আদালত। এ দিন দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করা হয় আরিয়ানকে। এ সময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা নাকচ করে বিচারকি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) রিমান্ড বাড়ানোর আবেদন করলে তা-ও নাকচ করেন আদালত।
আরিয়ান খানসহ আরো ৭ জনকে বিচারকি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিচারকি হেফাজতে থাকবেন তারা। এ রায়ের পরপরই আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে অন্তবর্তীকালীন ও পূর্ণ জামিন আবেদন করেছেন। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) এ শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও জামিন পাননি আরিয়ান।
এনসিবি দাবি করেছিল, আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত। আরিয়ান ও অন্য গ্রেপ্তারকৃতদের মোবাইল ফোন গান্ধী নগর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ছেলে আরিয়ান খান গ্রেপ্তারের পর থেকেই মানসিক চাপের মধ্যে আছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ছেলেকে মুক্ত করতে এদিক-সেদিক ছুঁটে বেড়াচ্ছেন তিনি। ছেলের দুশ্চিন্তায় ঠিকমতো খেতে পারছেন না শাহরুখ। এমনকি ঘুমাতেও পারছেন না কিং খান। ছেলে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আপাতত সিনেমার কাজ স্থগিত রাখছেন বাদশা।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর কর্মকর্তাদের দীর্ঘ ৬ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদে মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। তাকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় লেখা রয়েছে- ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।