শিরোনাম
মাদক মামলায় বেশ বেকায়দায় ফেঁসেছেন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান। সহসাই যে ছাড়া পাচ্ছেন না, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত হলেও শতভাগ বলা যাচ্ছে না। সূত্র: নিউজ ১৮
কারণ একজন মানুষ- সতীশ মানেশিন্দে। আরিয়ানের আইনজীবী। শোনা যায়, তার জেরার মুখে দাঁড়াতেই পারেন না প্রতিপক্ষ।
তবে তার পারিশ্রমিকও চোখ কপালে তোলার মতো। তিনি একদিনের জন্যই নাকি নেন ১০ লাখ রুপি!
তার মুন্সিয়ানা বুঝতে হলে আরও কয়েকটি নাম সামনে আনতে হবে। সঞ্জয় দত্ত থেকে সালমান খান, রাখি সাওয়ান্ত থেকে হালের রিয়া চক্রবর্তী- সবারই আইনজীবী তিনি।
শুধু তারা নন, বলিউডের সংকট মোচনে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব হয় তার। সাক্ষাৎ যমদূতের কোল থেকেও ছিনিয়ে এনেছেন সালমান, সঞ্জয়কে।
এই আইনজীবীকে বুঝতে একটু পেছন ফিরে যাওয়া যাক। লর্ডসে কপিল দেবের হাতে বিশ্বকাপ উঠলো যে বার, সেই ১৯৮৩ সালে কর্নাটকের ধারওয়াড়ের আদি বাসিন্দা সতীশ মানেশিন্দে মুম্বাই (তৎকালীন বম্বে) আসেন। সেই সময় ফৌজদারি মামলার বাঘা আইনজীবী হিসেবে বেশ নামকরা ছিলেন রাম জেঠমলানি। তার জুনিয়র হিসেবে কাজ শুরু করেন সতীশ। টানা ১০ বছর তার নেতৃত্বে কাজ করার পর নিজেই চেম্বার দিয়ে বসেন।
তাকে আলাদাভাবে চেনা যায় প্রথম বছরই, ১৯৯৩ সালে। মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ মামলায় বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের হয়ে আদালতে দাঁড়ান সতীশ। আইনজীবী মহলের দাবি, শিন্দের জোরদার সওয়ালের জোরেই কাঠগড়া থেকে ফসকে বেরিয়ে আসতে পারেন সঞ্জয়। বিস্ফোরণ মামলায় জামিন পেয়ে যান তিনি। তারপর থেকে শিন্দের নাম ছড়াতে শুরু করে ভারতজুড়ে।
একচ্ছত্র আধিপত্য জারি করেন সতীশ। কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় সালমান খানকে এনে দেন জামিন। ২০০২ সালে এই নায়ক আরও ভয়ংকর মামলায় জড়িয়ে পড়েন। এবার পশু নয়, মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগ! সেক্ষেত্রেও ছাড়িয়ে আনেন সতীশ। প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলায় রিয়ার হয়েও লড়েছেন। পাইয়ে দিয়েছেন জামিন।
আর এ কারণেই বলিউডে তার দাম যেন আকাশছোঁয়া। তবে সেটা ঠিক কতটা, নিশ্চিত করতে পারেনি ভারতীয় গণমাধ্যম।
এই প্রসঙ্গে একটি মজার ঘটনা প্রচলিত আছে বি-টাউনে। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে সতীশকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘শোনা যায় আপনার পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা। এটা কি সত্যি?’
সহাস্যে সতীশ জবাব দিয়েছিলেন, ‘যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমার পারিশ্রমিক ১০ লাখ টাকা বলছেন, সেটা ১০ বছরের পুরনো কথা! এবার হিসাব করে নিন।’