শিরোনাম
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সিনেমা ‘পাঠান’ এবং ফ্যাশনের বিষয়ে সম্প্রতি টুইটারে কঙ্গনা রানাউত টুইট করেন, ‘এই দেশে (ভারতে) খান ও মুসলিম তারকাদের প্রতি ভালোবাসার মাত্রা যে একটু বেশিই, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই দেশ একমাত্র খান সাহেবদের ভালোবেসেছে, যত সময় গিয়েছে এবং যাচ্ছে দিনে দিনে তা আরও স্পষ্ট হচ্ছে।’
পদ্মশ্রীজয়ী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের এই টুইটের উত্তরে উরফি জাভেদ পাল্টা টুইট করে বলেন, “এসব কী বলছেন! মুসলিম অভিনেতা-হিন্দু অভিনেতা, এই বিভাজনের অর্থ কী? ধর্ম দিয়ে তো শিল্পের বিচার হয় না। মুসলিম হোক আর হিন্দু হোক তারা শুধুই অভিনেতা।”
শিল্পীর ধর্ম নিয়ে দুজনের মধ্যে অনেক কথা কাটাকাটি হওয়ার পর যখন ‘পাঠান’ ও দেশের মুসলিম অভিনেতাদের নিয়ে আবারও একের পর এক বিতর্কিত টুইট করছেন কঙ্গনা রানাউত, তখনও উরফি তার টুইটের উত্তরে একই কথা বলেন যে, ‘‘শিল্পী কখনো মুসলমান ও হিন্দু হয় না, তাদের একটাই পরিচয় তারা শিল্পী।”
উরফির মন্তব্যের জবাবে কঙ্গনা একটু অন্যদিকে উরফিকে খোচা দিয়ে লেখেন, ‘‘আজকাল পোশাকেও একটু পরিবর্তন আনা দরকার। একমাত্র ইউনিফর্ম সিভিল কোড থাকলে আদর্শ দেশে এমনটা সম্ভব, তা না হওয়া পর্যন্ত দেশে বিভাজন থাকবেই।” ২০২৪ সালের নির্বাচনের মেনিফেস্টোতে ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানানোর প্রস্তাবও দেন ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’ খ্যাত এই অভিনেত্রী।
কঙ্গনার টুইটের বক্তব্যের পর উরফি মজা করে লেখেন, ‘আমার জন্য ইউনিফর্ম খুব একটা আদর্শ হবে বলে মনে হয় না, আমি আমার পোশাকের জন্যই আজ আলোচিত এবং বিখ্যাত।’
উরফির ফ্যাশন সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল কঙ্গনা আবারও টুইট করে বলেন, ‘পোশাক নির্বাচন হলো সবার সামনে নিজেকে মেলে ধরার একটা উপায়। নিজের কর্মকাণ্ডের কারণে কাউকে কখনও এমন সুযোগ দেওয়া উচিত নয়, যে তোমায় অপমান কিংবা অপদস্থ করতে পারে। কারণ তুমি পবিত্র এবং সুন্দর’।
তবে এই টুইট দুজনের তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই শেষ হয়নি, টুইটের শেষে উরফির জন্য ভালোবাসার বার্তা দিতেও ভোলেননি কঙ্গনা।