শিরোনাম
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিতে আজ রোববার (১০ অক্টোবর) আদালতে গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। নায়িকাকে সামনে পেয়ে তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছিলেন এক আইনজীবী। তখন আইনজীবীর উদ্দেশে পরীমণি বলেন, 'রাখেন বাবা, অস্বস্তি লাগছে, মরে যাচ্ছি।'
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতের এজলাসে পরীমণি হাজির হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। এদিকে শুনানি শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত এই নায়িকার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তবে হাজিরা দিতে এসে আদালত প্রাঙ্গণে অসুস্থ হয়ে পড়েন পরীমণি। শুনানি শেষে নায়িকাকে অসুস্থ অবস্থায় তার ব্যবহৃত গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে আসেন তিনি। এ সময় ছয়তলার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন অভিনেত্রী। শুনানির শেষ পর্যায়ে আদালত কক্ষে এজলাসের ভেতরেও শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। পরবর্তীতে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় ভিড় সরিয়ে তাকে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত এই নায়িকার জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।
এরপর তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট চারদিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট দুই দিন ও তৃতীয় দফায় ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। সিনেমার কাজে নিয়মিত হচ্ছেন। নতুন সিনেমায়ও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।