আনন্দবাজার পত্রিকার ওপর যে কারণে ক্ষোভ ঝারলেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত

ফানাম নিউজ
  ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১২:২১
আপডেট  : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১২:২৫

কলকাতার জনপ্রিয় ও শক্তিশালী অভিনেতা রজতাভ দত্ত; যিনি বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করতে এ মুহূর্তে ইলিশেরবাড়ি চাঁদপুরে অবস্থান করছেন।

শাপলা মিডিয়া প্রযোজিত ‘প্রিয়া রে’ শিরোনামে একটি সিনেমার শুটিংয়ে জন্য বেশ কিছুদিন চাঁদপুরে থাকবেন তিনি। কলকাতার এই তুখোড় খল অভিনেতাকে সামনে পেয়ে তাকে নানান বিষয়ে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

সেখানে সম্প্রতি কলকাতার বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার একটি রিপোর্ট প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, জয়া আহসান, মিথিলা, বাঁধনদের মতো বাংলাদেশি তারকাদের কারণে কলকাতার নায়িকারা বেকার হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকায় এমন খবর প্রকাশ হয়েছে।

এ ব্যাপারে রজতাভের মতামত কী, জানতে চাইলে তিনি সোজাসাপ্টা ভাষায় জানান, রিপোর্টটির কোনো ভিত্তি নেই। আনন্দবাজার অনেক কথাই লেখে, সব কথা আমলে নিতে নেই। এতে কারও কিছু যায় আসে না।

রজতাভ বলেন, ‘এসব বোগাস কথাবার্তা। এ ধরনের রিপোর্টেরই কোনো ভিত্তি নেই। দেখুন, আনন্দবাজার তো কত কিছুই বলে, তাতে কি যায় আসে। ওরা তো বাংলা সিনেমা নিয়ে কখনও ভালো কথা বলে না।সবসময় বলিউড, হলিউড নিয়ে মেতে থাকে। কে কোথায় গোসল করল, কার কী হলো না হলো। বাংলা সিনেমা নিয়ে সব উল্টাপাল্টা সংবাদ। তাদের রিপোর্ট নিয়ে আমি কথা বলতে নারাজ।

তবে কি কলকাতার অভিনেত্রীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন? সেখানে বাংলাদেশি অভিনেত্রীদের অভিনয়ে তাদের ক্যারিয়ারে কোনো প্রভাব পড়ছে না!

রজতাভ বলেন, ‘যে যোগ্য তার কাজ কেউ কেড়ে নিতে পারে না। যারা মেধাবী, তারা সবসময় সব জায়গায় কাজ কারবে, এগিয়ে থাকবে। জয়া আহসান দুর্দান্ত একজন শিল্পী। তার কাজ নিয়ে বলার কিছু নেই। দর্শক তাকে চাইছে। সেজন্যই পরিচালকরা তাকে নিচ্ছেন। যতদিন চাইবে নেবেন। মিথিলা ভালো করছে। বাঁধন গেছে সম্প্রতি। আর চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম দারুণ জনপ্রিয় কলকাতায়। ওদের সিরিজগুলো খুব ভালো চলেছে। দর্শক পছন্দ করেছেন। ভবিষ্যতেও কাজ করবেন। একইভাবে আমাদের অনেকে এখানে জনপ্রিয়। আর এটা তো নতুন কিছু নয়। অনেক আগে থেকেই দুই বাংলার শিল্পীরা এপার-ওপার করে কাজ করেছেন। কারণ, বাংলা ভাষায় আমার কথা বলি। আমাদের সাংস্কৃতিক আচারও প্রায় এক। এই যে আমরা আসলাম এখানে বা জয়ারা ওপারে যাওয়াতে দুই দেশের শিল্পীদের চাপ বাড়ছে। বেকারত্ব বাড়ছে, এগুলো বলার কোনো যুক্তি নেই।’