শিরোনাম
প্রায় ১৩ বছর পর ঢাকায় এসেছেন কবীর সুমন। বাংলা গানের এ অসম্ভব প্রিয় শিল্পী দর্শকদের মাতাতে চেয়েছিলেন তিন দিনের ৩টি কনসার্টে।
কবীর সুমনের ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদযাপন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলছেন, তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুষ্ঠানটি তাদের মিলনায়তনে হচ্ছে।
তবে পুলিশ বলছে, অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এলাকায় এ অনুষ্ঠানের অনুমতি তারা দেয়নি।
জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় জাদুঘর একটি কি-পয়েন্ট ইনস্টলেশনে (অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা), কেপিআইয়ের ভেতর জনসমাবেশ বা এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠান করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, শিল্পীদের অনেক ক্রেজ থাকে। উনারা যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি করেছে, তার চেয়ে যদি অনেক বেশি লোক চলে আসে এবং বাইচান্স ভাংচুর শুরু করে, তখন তো সমস্ত দোষ পুলিশের উপর এসে পড়বে। তখন প্রশ্ন আসবে- ‘কেনো কেপিআইয়ের ভেতর অনুমতি দিলো।’
জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ১৫ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান পরিবেশনের কথা ছিল।
সে অনুযায়ী টিকিটও বিক্রি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, আয়োজন ঘিরে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতি শোতে পাঁচ শতাধিক দর্শক ভেন্যু থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন। এছাড়া বাংলাদেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেসবুক লাইভে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে। গত শুক্রবার টিকিট ছাড়া হয়েছে, টিকিট নিয়ে দর্শকদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ দেখা গেছে।
কবীর সুমন শেষবার ঢাকায় এসেছিলেন ২০০৯ সালের অক্টোবরে। তখন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গান পরিবেশনে বাধা পেয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন। মধ্যে এক যুগ কেটে গেলেও আর ঢাকায় আসেননি তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিমানের সুরে বলেছিলেন, বাংলাদেশে আর কখনও আসবেন না তিনি।
এবারের অনুষ্ঠানটি ঘিরে তরুণদের উৎসাহ দেখে ঢাকায় আসার আগে এক ভিডিও বার্তায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কবীর সুমন বলেন, আমার ৭৩ বছর চলছে। আর বেশি দিন তো নেই। আরো অনেক বছরও যদি বাঁচি, এই গলাটা তো আর থাকবে না। সুর তো থাকবে না। তাই যতদিন আছি, সকলে যদি শোনেন আমার খুব ভালো লাগবে।