শিরোনাম
পর পর দুবার জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। মাদক মামলায় শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ছেলের ফেরার অপেক্ষায় কাতর ছিলেন আরিয়ানের মা গৌরি খান। আজ শুক্রবার তার জন্মদিন। কিন্তু বিশেষ এই দিনে মায়ের আচঁলে না থেকে কারাগারে আরিয়ান। কেক কেটে, মোমাবাতি নিভিয়ে জন্মদিন পালনের প্রশ্নই উঠে না। বিশেষ এই দিনে ছেলেকে পাশে পাবেন না মানতেই পারেননি শাহরুখপত্মী।
তাই আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করতে গৌরি গিয়েছিলেন এনসিবির দপ্তরে গিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার রাতেই। গৌরীর সঙ্গে ছিলেন শাহরুখের ব্যবস্থাপক পূজা দদলানি।
গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় আরিয়ান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাসহ বাকি আট অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন কিলা আদালত। তবে সন্ধ্যা সাতটার পর জেলের গেট বন্ধ হয়ে গেলে আরিয়ানসহ বাকি অভিযুক্তদের এনসিবির দপ্তরে রাত কাটাতে হয়েছে। সেই সুযোগেই ছেলের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন আরিয়ানের মা।
জানা গেছে, আদালতে এ মামলার শুনানির সময় শাহরুখের ব্যবস্থাপক পূজা দদলানি অঝোরে কেঁদেছেন। আরিয়ানের প্রতি প্রচণ্ড মায়া তার। আরিয়ানের জন্য বার্গারের প্যাকেট নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।এর আগে এনসিবির দপ্তরে আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পূজা।
২ অক্টোবর রাতে প্রমোদতরীতে কী হয়েছিল, সে সম্পর্কে জানিয়েছেন আরিয়ান।
আদালতে আরিয়ানের পক্ষে আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে জানান, ‘আরিয়ান ক্রুজ টার্মিনালে গিয়েছিলাম। ওখানে আরবাজ তার জন্য অপেক্ষা করছিল। তারা একসঙ্গে প্রমোদতরীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা সেখানে পৌঁছানো মাত্র এনসিবির কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসা করেন যে আরিয়ানের সঙ্গে মাদক আছে কি না? তারা আরিয়ানের শরীর ও ব্যাগে তল্লাশি করেন। কিন্তু তারা কিছু পাননি। এরপর আরিয়ানের ফোন নিয়ে নেন এসসিবির কর্মকর্তারা। তাকে এনসিবির দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ২টা পর নিজের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান আরিয়ান।’
এদিকে আরিয়ানের মাদক মামলা নয়া মোড় নিয়েছে। জানা গেল, আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদানকারী গোয়েন্দা পুনের এক জালিয়াতি মামলায় পলাতক আসামি! সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হওয়া একটি ছবি নিয়ে তোলপাড় চলছে ভারতের নেটমাধ্যমে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কেপি গোসাভি একজন প্রাইভেট গোয়েন্দা সেলফি তুলছেন আটক আরিয়ান খানের সঙ্গে। মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এনসিবি জানিয়েছে, ছবির এই গোয়েন্দা এবং বিজেপি নেতা ভানুশালী আরিয়ান খানের মামলার সাক্ষী। এমন খবরের পর পর সেই ছবিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)।
পুনে পুলিশের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০১৮ সাল থেকে পুনের এক জালিয়াতি মামলায় ‘পলাতক’ আসামি গোয়েন্দা গোসাভি। এক মামলায় তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছেন। ২০১৯ সালে একটি চার্জশিট দাখিল করে পুনে পুলিশ এবং তাতে সিআরপিসির ৮২ নম্বর ধারার অধীনে জানানো হয় যে অভিযুক্ত গোসাভি পলাতক।