শিরোনাম
এবার ‘অন্য’ মঞ্চেও জ্বলে উঠলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া জোনাস। জাতিসংঘের মঞ্চে বিশ্বকে মনে করিয়ে দিলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাবিকাঠি আমাদের নিজেদের হাতেই রয়েছে এবং ন্যায্য, সুরক্ষিত ও স্বাস্থ্যকর দুনিয়া প্রতিটি নাগরিকেরই অধিকার।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেন প্রিয়াংকা। বলিউড ছেড়ে যিনি হলিউডেই ঘাঁটি গেড়েছেন। অভিনেতা-প্রযোজক ছাড়া প্রিয়াংকার আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি জাতিসংঘের ‘গুডউইল অ্যাম্বাসাডর’ বা শুভেচ্ছাদূত।
সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সব সদস্য দেশের লক্ষ্যমাত্রাও নিজের ভাষণে মনে করিয়ে দেন তিনি। প্রিয়াংকা বলেন, বিশ্বের এক সংকটময় সময়ে আমরা আজ মিলিত হয়েছি, যেখানে দুনিয়াজোড়া ভ্রাতৃত্ববোধের প্রয়োজনীয়তা আগের থেকে বেশি জরুরি।
সাম্প্রতিক সময়ে গোটা বিশ্বই যে স্বস্তিদায়ক অবস্থায় নেই, তাও মনে করিয়ে দেন প্রিয়াংকা। তার কথায়, কোভিডের মতো মহামারির বিধ্বংসী প্রভাবের জেরে বিশ্বের নানা দেশই সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটের জেরে জীবন-জীবিকা প্রভাবিত হয়েছে। বিশ্বের ন্যায্য ভিত্তিকেই ধ্বংস করে দিয়েছে দারিদ্র ও অসাম্য। যার জন্য আমরা দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
জাতিসংঘের পক্ষে প্রিয়াংকার এ ভাষণ সম্প্রচার করা হয়েছে ইউটিউবে। সেখানে তাকে গাঢ় নীল পোশাকে দৃপ্ত ভঙ্গিতে ভাষণরত দেখা গেছে। বিশ্বজুড়ে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে এর সব সদস্য। তারই অঙ্গ হিসেবে দারিদ্র্য দূরীকরণ, পরিবেশ রক্ষা এবং বিশ্ববাসীর জীবনের মান উন্নয়নসহ ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে জাতিসংঘের। ১৫ বছরের এই দীর্ঘ পরিকল্পনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রিয়াংকার মন্তব্য— 'এই বিশ্ববাসীর কাছে আমরা ঋণী, এই পৃথিবীর কাছে আমরা ঋণী। যে বিশ্বে বসবাস করি তা ন্যায্য, নিরাপদ এবং সুস্থ হোক, সেটিই আমাদের প্রাপ্য।'
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি